হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন চল্লিশ দিনের অঙ্গীকারে স্বজাতি থেকে তুর পাহাড়ে অবস্থান নেয়। তখন বনি ইসরাইল গো-বাছুর পূজায় লিপ্ত হয়। অতপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে শিরকের গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দেন। যার বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা বলেন-আর যখন আমি মূসার সাথে ওয়াদা করেছি চল্লিশ রাত্রির অতঃপর তোমরা গোবৎস বানিয়ে নিয়েছ মূসার অনুপস্থিতিতে। বস্তুতঃ তোমরা ছিলে যালেম। তারপর আমি তাতেও তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও। আর (স্মরণ কর) যখন আমি মূসাকে কিতাব এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বিধানকারী নির্দেশ দান করেছি, যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হতে পার। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৫১-৫৩)অত্র আয়াতে বনি ইসরাইলদের প্রতি আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বড় নিআমাত এবং অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন। হজতর মুসা আলাইহিস যখন চল্লিশ দিনের জন্য তুর পাহাড়ে গেলেন, এ চল্লিশ দিনের মর্মার্থ আল্লাহ কুরআনের অন্য আয়াতে বলেন, ‘যখন আমি মুসার সঙ্গে ত্রিশ রাত্রির ওয়াদা করেছিলাম এবং আরও দশ বাড়িয়ে চল্লিশ করেছিলাম। ত্রিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এদিকে সামেরী নাকম এক ব্যক্তি সোনা-রূপা দিয়ে গো-বাছুরের একটি প্রতিমূর্তি তৈরি করে এবং তার কাছে পূর্ব থেকে সংরক্ষিত হজরত জিবরিল আলাইহিস সালামের ঘোড়ার খুরের তলার কিছু মাটি গো-বাছুরের প্রতিমুর্তির ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়ার সেটি জীবন্ত হয়ে উঠলো। এতে অশিক্ষিত বনি ইসরাইল তারই পূজা করতে আরম্ভ করলো।হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তাদের মাঝে ফিরে আসলে তারা এ শিরক হতে তাওবা করে। তখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এত বড় শিরকের অপরাধ থেকে মুক্তি দান করেন। আয়াতে এ কথাই স্মরণ করে দেয়া হয়েছে।পরিশেষে....তাওরাত ছিল তাদের জন্য তাদের জন্য এমন এক কিতাব যা সত্য ও মিথ্যার প্রভেদকারী। যার উপর বনি ইসরাইল ঈমান এনেছিল। এ কিতাবেই শেষ-নবি ও কুরআনের উপর ঈমান আনার কথা বলা হয়েছে। তাই আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলদেরকে বারবার এ কথারই স্মরণ করে দিচ্ছেন যে, তোমাদের প্রতে দেয়া নিয়ামাতের কথা স্মরণ করে আমার নির্দেশ শেষ নবি ও রাসুল এবং কুরআনের প্রতি ঈমান গ্রহণ করো। আর মুসলিম উম্মাহকে তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসার শিক্ষাও রয়েছে অত্র আয়াতে।সুতরাং আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াতের শিক্ষা ইয়াহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement