এম এ রহমান
Advertisement
বঙ্গবন্ধু
কে বলেছে তুমি নেই তুমি মিশে আছো বাংলায়বাংলার সবুজের ঘ্রাণে বাঙালির রক্তে মিশেবাংলার ফুসফুসে তুমি আজও চালাও শ্বাসবাঙালির চোখে দেখ বাংলার অপরূপ রূপ।।
বাংলাদেশের অনুভবে আছো তুমি অনির্বাণ হয়েতবে কে বলেছে তুমি নেই তুমি আছো মুক্তমঞ্চেবাংলার তরুণের বজ্রকণ্ঠে শিরা উপশিরা রক্তেপদ্মা যমুনা মেট্রো রেলে বাংলার স্বপ্নে মিশে।।
Advertisement
বাংলার নিউরনে তুমি স্থায়ী স্বপ্ন সবুজেরতুমি যে বিবেক বাঙালির-বাংলার পিতাকে বলেছে তুমি নেই তুমি আছো বাংলার মাটিতেইবাংলার পাঁজরের হাড়ে বাঙালির মেরুদণ্ডে।।
তুমি আবে হায়াতের জলে পেয়েছ অমর শরীরতোমাকে ছালাম বঙ্গবন্ধু-শেখ মুজিবুর রহমান।
****
বঙ্গবন্ধু, একটি অমর কণ্ঠস্বর
Advertisement
যখন দিনের আলো ঢাকে বৈষম্যের কালোরাতেতেরশ নদীর স্রোতে নোনাজল মিশে করে হাহাকারযখন অত্যাচারের তীব্রদাহে ফাটে বাংলার মাটিঠিক তখনই একটি কণ্ঠস্বর হেঁটে বেড়ায় বাংলায়শহরের কানাগলি, সবুজ ক্ষেত, মেঠোপথ চারিদিকে।
একজোড়া চোখের অতলে একটি স্বপ্নের সিঁড়ি দীর্ঘ হতে থাকে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া।তারপর ত্রিশ লক্ষ লাশের সোপান পেরিয়ে পেয়েছিএকটি মুক্ত আকাশ—অন্ধকার তাড়ানো একটি সূর্য যার আলো শোকাহত শিশির ভেজা সবুজ দুর্বাদলেহীরার মতই চকচকে, বিচ্ছুরিত আলোতে গড়ে রামধনু।তারপর সেই শিল্পী রংতুলিতে আঁকতে থাকেন একটি পতাকা, একটি মানচিত্র নিখুঁত রঙে।
পনেরো আগস্ট, একদল বুভুক্ষু শকুন রক্ত খায়ক্যানভাসে টেনে দেয় এক কালো পর্দার নেকাব।সময়ের পাখি ফেরে—পতাকা উড়ায় আকাশ পানেজীবন্তের চেয়ে বেশি এক অশরীরী পতপত কণ্ঠস্বরআজও কথা বলে মানচিত্রের একান্ত ভেতর থেকেই।
****
একটি পূর্ণিমা রাত
শোষিত বাংলার বুকে যখন তৃষ্ণায় হাহাকারঅত্যাচারের ধোঁয়ায় যখন সন্ধ্যারা নেমে আসেবৃক্ষরা ছায়া গোটায় নিশ্চুপ শোয় রাত্রির কোলেবৈষম্যের পোড়া গন্ধে যখন বাতাসের ক্রন্দনতখন রাত্রির বুকে জোনাকে জ্বলে আশার আলোরাজপথে পড়ে থাকে জোনাকের বায়ান্নর দেহ।তারপর জোনাকের আলোগুলো মার্চের রাতেইআলো বিবর্ধন মন্ত্রে পরিণত হয় চাঁদের আলোয়অন্ধকার খসে খসে জেগে ওঠে পূর্ণিমার আলোতখন বাতাসে ভাসে গন্ধরাজ ফুলের সুঘ্রাণআর জোছনা আলোয় চুয়ে চুয়ে পড়ে স্বাধীনতা।
****
স্বাধীনতার সুঘ্রাণ
সেদিনের অন্ধকার রাত্রিগুলো এতো নির্জন ছিল নাফুরফুরে বাতাসের শীতল শরীরও ছিল নাছিল না জোছনামাখা রাতের শান্তির ঘুমসেদিন—রাতগুলোর অন্ধকারে লুকিয়ে ছিল বৈষম্যঅত্যাচারের বিবশ চিৎকারের আহত বাতাসলুণ্ঠনের কাঁটাতারে ঝোলানো ছিল জোছনা আলো।সাত কোটি অন্ধকার হৃদে যখন ভারী নিঃশ্বাসযখন অত্যাচারের কালো ধোঁয়ায় আঁধার নামেঠিক তখনই একটি তর্জনী সূর্যের মতো আলো ছড়ায়বাতাসে ছড়িয়ে দেয় স্বাধীনতার সুঘ্রাণসতেজতা ফিরে আসে—জেগে ওঠে কোটি কোটি প্রাণ।সেদিনের তর্জনীর ধ্যুতি অসীম সাহস বাঙালি বুকেরমায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসায় জ্বলে লেলিহান শিখাউজ্জীবিত করে এক সাগর নোনতা রক্তেরক্ত চোষক জোঁককে চুবিয়ে মারতে।সেদিনের তর্জনীর কম্পাঙ্কে আন্দোলিত কোটি প্রাণদূরে কোথাও কোকিল—গেয়ে যায় বসন্তের গান।
এসইউ/জিকেএস