লাইফস্টাইল

শরীরের অতিরিক্ত কিছু অঙ্গের বৈজ্ঞানিক কারণ

বিশ্বে এমন অনেকেই আছেন যাদের শরীরে অতিরিক্ত অঙ্গ থাকে কিংবা এমন কোনো চিহ্ন থাকে, যা তাদের অন্য সবার চেয়ে আলাদা করে তোলে। বিশ্বের খুব কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে বিরল এমন বৈশিষ্ট্য থাকায় তাদের ‘ব্যতিক্রম’ মনে করা হয়।

Advertisement

যেমন- কেউ কেউ হাতে অতিরিক্ত এক আঙুল অর্থাৎ ৬ আঙুল নিয়ে জন্মান, আবার কারো বুকে থাকে অতিরিক্ত পাঁজর। এমনকি বিশ্বের কয়েকজন গোল্ডেন ব্ল্যাড নিয়েও জন্মান। জেনে নিন তেমনই শারীরিক কিছু বিরল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে-

৬ আঙুল

৩টি ফ্যালাঞ্জসহ বুড়ো আঙুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করার বিষয়টি অবশ্যই অস্বাভাবিক ও বিরল। জানা যায়, ১০০০ জনের মধ্যে মাত্র ১ জনের ক্ষেত্রে এমনটি হয়। অন্যদিকে ২৫০০০ জনের মধ্যে মাত্র একজন ৩টি ফ্যালাঞ্জসহ ৬ আঙুল নিয়ে জন্মান। অনেকেই ৬ আঙুলকে অক্ষমতার দৃষ্টিতে দেখেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর বড় সুবিধা আছে। চিকিৎসকরা খুঁজে পেয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের মস্তিষ্ক অতিরিক্ত অঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে পুরোপুরি সক্ষম।

Advertisement

অতিরিক্ত পাঁজর

বেশিরভাগ মানুষের বুকেই থাকে ২৪টি পাঁজর (১২ জোড়া)। তবে বেশ কিছু মানুষের ডান, বাম বা উভয় পাশে একটি অতিরিক্ত পাঁজর থাকে। অনেক সময় এক্স-রে করলে তা ধরা না-ও পড়তে পারে। কারণ এর টিস্যু ফাইবারগুলো খুবই পাতলা থাকে।

কেউ কেউ আজীবন অতিরিক্ত পাঁজর বুকে নিয়ে বেঁচে থাকেন। এ ধরনের পাঁজর ততক্ষণ বিপজ্জনক নয়; যতক্ষণ তা রক্তনালি বা স্নায়ুর ওপর চাপ না ফেলে।

গোল্ডেন ব্ল্যাড

Advertisement

বিশ্বের মাত্র ৫০ জনের শরীরে বইছে গোল্ডেন ব্ল্যাড বা সোনালি রক্ত। এর মানে এই নয়, সত্যিকার অর্থেই তাদের শরীরে সোনালি রঙের রক্ত আছে। আসলে এটি রক্তের একটি ধরন মাত্র। এ ধরনের রক্ত সত্যিই বিরল। এমন রক্তে সম্পূর্ণরূপে আরএইচ অ্যান্টিজেনের অভাব থাকে।

১৯৬১ সালে প্রথম এক আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তির রক্তে এ ধরন পাওয়া যায়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫০ জনের শরীরে পাওয়া গেছে বিরল এ রক্ত।

কানের উপরে ছোট্ট ছিদ্র

বিশ্বে মাত্র ০১-১০ শতাংশ শিশু কানের উপরে এমন ছোট্ট ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এ বৈশিষ্ট্য আসলে সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত। যার ফলে ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন ওই ব্যক্তি।

মজবুত হাড়ের অধিকারী

কিছু মানুষ আছে, যারা শক্তিশালী হাড় নিয়ে জন্মান। অতিরিক্ত সক্রিয় এলআরপি৫ জিনের কারণে তাদের কঙ্কালের গঠনে অস্বাভাবিক ঘনত্ব থাকে। তাদের হাড় এতটাই শক্তিশালী, সাঁতার কাটার সময় পানিতে ভেসে থাকতে কষ্ট হয়।

চুল আঁচড়ানো যায় না

চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। এর অন্যতম এক কারণ হতে পারে চুল নিয়মিত চিরুনি না করা। চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় ও পরিপাটি রাখতে চিরুনি করার বিকল্প নেই। তবে জানলে অবাক হবেন, বিশ্বে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাদের চুল আঁচড়ানো যায় না।

এ সমস্যাকে ‘স্পুন গ্লাস হেয়ার’ বলা হয়। এমন ব্যক্তিদের চুল এতটাই শুষ্ক ও ঝরঝরে হয়, আঁচড়ানোর সময় তা পড়ে যায়। কারণ এমন ধরনের চুলগুলো খুবই ভঙ্গুর প্রকৃতির।

কবজির ওপর পেশি

ভাগ্যবান কিছু মানুষের হাতে এমন চিহ্ন দেখা যায়। আপনিও তাদের মধ্যে কি না জানতে হলে হাতের তালু একটি সমতল পৃষ্ঠে রাখুন। তারপর বুড়ো ও কনিষ্ঠ আঙুল উঁচু করে একসঙ্গে লাগানোর চেষ্টা করুন।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

জেএমএস/এসইউ/এমএস