বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বাড়ে ইলিশ মাছের চাহিদা। স্বাদে, গন্ধে এমনকি পুষ্টির দিক দিয়েও অনন্য এই মাছ। আবার ইলিশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। এ সময় কমবেশি সবার ঘরেই তৈরি হয় ইলিশের বাহারি সব পদ।
Advertisement
তবে ইলিশ মাছ কিনতে গেলে কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কোনটি নদীর আর কোনটি সমুদ্রের, কোন মাছটি সুস্বাদু কিংবা কোনটিতে ডিম আছে তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। অনকেরই ধারণা আছে, নদী আর সাগরের ইলিশের মধ্যে স্বাদে অনেক পার্থক্য আছে। তবে সব ইলিশই কিন্তু সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে ইলিশ আকারে যত বড় হবে, তার স্বাদ তত বেশি হয়।
বড় ইলিশকে পাকা ইলিশও বলা হয়। আবার বর্ষাকালে যেসব ইলিশ বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো বেশি সুস্বাদু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম ছাড়ার আগ পর্যন্ত ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে।
ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক কম। তবে ডিমওয়ালা মাছের চাহিদা বেশি। অনেকেই বাজার ঘুরে ডিমওয়ালা মাছ খোঁজেন। কীভাবে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ?
Advertisement
ডিমওয়ালা মাছ পাওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো অগাস্ট মাসের পর থেকে। তখন শুরু হয় ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম। একটানা তা চলে অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও বর্তমানে বাজারে বছরজুড়েই ইলিশ পাওয়া যায়।
সাধারণত ডিমওয়ালা ইলিশের পেট কিছুটা মোটা অর্থাৎ উঁচু থাকে। আকৃতি অনেকটা চ্যাপ্টা দেখায়। এছাড়া ডিমওয়ালা ইলিশের পেট টিপলেই পায়ুর ছিদ্র দিয়ে ডিম বেরিয়ে আসবে। এভাবে যাচাই করে সহজেই কিনতে পারবেন ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ।
ইলিশ মাছের মতোই এর ডিমেও আছে নানা পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ, ডি থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সবই পাবেন মাছের ডিমে। এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে মাছের ডিম।
জেএমএস/জিকেএস
Advertisement