আল্লাহ তাআলা একাধারে অনেকগুলো আয়াত নাজিল করেছেন বনি ইসরাইল জাতিকে উদ্দেশ্য করে। প্রত্যেক আয়াতে তাদের কৃত ওয়াদা, তাদের অনর্থক চিন্তা-ভাবনায় আল্লাহ তাআলা অসংখ্য আয়াত নাজিল করে তাদেরকে সতর্ক করেছেন। যাতে মুসলিম উম্মাহর জন্যও অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। আল্লাহ বলেন-আর সে দিনেক ভয় কর, যে দিন একজন অন্যজন থেকে এতটুকুও উপকৃত হবে না এবং সে দিন কারো কোনো সুপারিশ গৃহীত হবে না এবং কারো নিকট থেকে কোনো বিনিময় গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তারা কোনো প্রকার সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৪৮)অত্র আয়াতে বনি ইসরাইল জাতিকে উদ্দেশ্য করে নাজিল করা হয়েছে। যাতে বনি ইসরাইল এবং মুসলিম উভয় এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।সাধারণত দুনিয়ার নিয়ম হলো- কোনো মানুষ যদি বিপদগ্রস্ত হয় তবে, আপনজনরা তাকে বিপদমুক্ত করতে সচেষ্ট হয়, নিজেরা বিপদমুক্ত করতে না পারলে প্রভাবশালী কাউকে সুপারিশ ধরে। তাতে ব্যর্থ হলে অর্থ-সম্পদ খরচ করে। তাতেও ব্যর্থ হলে একযোগে নিজেদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আপনজনদের বিপদমুক্ত করতে চেষ্টা করে।বনি ইসরাইল জাতির ধারণা ছিল, হয়তো এ সমস্ত প্রক্রিয়ায় পরকালে বিপদমুক্ত হওয়া যাবে। কেননা তাদের পূর্ব-পুরুষদের মধ্যে অনেক নবি-রাসুল ছিলেন, তাঁরা আল্লাহ তাআলার দরবারে সুপারিশ করে তাদের নাজাতের ব্যবস্থা করে দেবেন।তাই আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াতে স্পষ্ট ভাষায় বনি ইসরাইল জাতির এ সব ভ্রান্ত ধারণার বাতুলতা এবং অসারতা ঘোষণা করে মুসলমানদেরকে এ থেকে শিক্ষা নেয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সে দিনকে ভয় কর অর্থাৎ কিয়ামাতের দিন, যে দিন কেউ কারো কোনো প্রকার উপকারে আসবে না এবং কারো পক্ষে কোনো সুপারিশও গ্রহণযোগ্য হবে না। কারো তরফ থেকেও বিনিময় মূল্যও নেয়া হবে না এবং সে দিন কেউ কোনো প্রকার সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।সুতরাং কিয়ামাতের দিনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বনি ইসরাইল জাতি এবং মুসলিম জাতির এ আয়াতের চেতনায় ফিরে আসা উচিত। আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহকেও উক্ত আয়াতের মর্মার্থ বুঝে আল্লাহর হুকুম মেনে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement