আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মৃতের সংখ্যাও থেমে নেই। আবারও করোনা সংক্রমণের এই গতি দেখে ভয় পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবুও মানুষের মধ্যে নেই সতর্কতা। কেউই সঠিকভাবে করোনাবিধি মানছেন না!
Advertisement
আর এ কারণেই করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এবার করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের নেপথ্যে আছে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এটি অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এমনকি এই সাবভ্যারিয়েন্টের আছে স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার এই ভাইরাস থেকে মানুষকে সতর্ক করছেন। তার উপর আবার এখন বর্ষাকাল। এ সময় বেশিরভাগ মানুষই অ্যালার্জিতে ভোগেন।
এক্ষেত্রে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া ও মাথাব্যথার সমস্যা প্রতিদিনই হতে পারে। অন্যদিকে কোভিড ১৯ এর লক্ষণওগুলো একই ধরনের। তাই অনেকেই সাধারণ অ্যালার্জির সমস্যাকে হয়তো করোনা বলে ভাবতে পারছেন না।
Advertisement
তবে কেন দুটির লক্ষণ মিলে যায়?
আসলে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সামনে আসার পর থেকে লক্ষণগুলো কিছুটা বদলে গিয়েছে। এখন মোটামুটি মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
ওমিক্রনে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে নাক আটকে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, কাশি ও ক্লান্তি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
অ্যালার্জি না করোনা বুঝবেন কীভাবে?
Advertisement
অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কিছু অ্যালার্জেন শরীরে গেলে কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের মধ্যেই সমস্যা হতে পারে। সেখানে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে কিন্তু ভাইরাস দেহে পৌঁছে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ দিন পর রোগীর দেখা দিতে পারে সমস্যা। এছাড়া অ্যালার্জির সমস্যার চেয়ে ওমিক্রন আপনাকে একটু বেশিই কষ্ট দেবে।
আরও যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত অ্যালার্জিতে জ্বর থাকে না। তবে কোভিডের ক্ষেত্রে জ্বর থাকে। জ্বর থাকার অর্থ হলো শরীর লড়াই করছে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে। এছাড়া করোনার ক্ষেত্রে গন্ধ ও স্বাদ চলে যায়। তবে অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটি হয় না।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত টেস্ট করিয়ে নিন। এর পাশাপাশি কোভিড প্রতিরোধে বেশি জোর দিতে হবে। সঠিকভাবে মাস্ক পড়ুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস