সাহিত্য

নগদ-রকমারি বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড পেলেন তারা

নগদ-রকমারি বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ডের ফিকশন বিভাগে প্রথম হয়েছেন তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন। এ ছাড়াও নন ফিকশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ, ধর্মীয় ক্যাটাগরিতে আরিফ আজাদ ও ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে সাইফুল ইসলাম।

Advertisement

সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নগদ-রকমারি বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।

ফিকশন বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছেন মালিহা তাবাসসুম ও তৃতীয় হয়েছেন জুনায়েদ ইভান। নন ফিকশন বিভাগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে মহিউদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক। ধর্মীয় ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এবং তৃতীয় মুহিব খান। ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছেন ফরিদ আহমেদ এবং তৃতীয় কোচ কামরুল হাসান।

ফিকশন শাখায় ইতি স্মৃতিগন্ধা শিরোনামে বই লিখে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন। একই বিভাগে অ্যাকিলিসের টেন্ডন শীর্ষক বইয়ের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মালিহা তাবাসসুম। অন্যমনস্ক শিরোনামের গ্রন্থের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জুনায়েদ ইভান।

Advertisement

নন ফিকশন শাখায় ইসরাইলের উত্থান-পতন শিরোনামের বই লিখে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ। একই শাখায় দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মহিউদ্দিন আহমদ। পলিটিক্যাল পার্টজ ইন ইন্ডিয়া শীর্ষক গ্রন্থের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক।

ধর্মীয় বিভাগে এবার ভিন্ন কিছু হোক শীর্ষক গ্রন্থের জন্য প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আরিফ আজাদ। একই শাখায় দ্য প্রফেট শীর্ষক গ্রন্থের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ। আল কুরআনের কাব্যানুবাদ গ্রন্থের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মুহিব খান।

ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ইংলিশে দুর্বলদের জন্য ইংলিশ থেরাপি বই লিখে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছেন সাইফুল ইসলাম। একই শাখায় সহজ ভাষায় ইংলিশ বইয়ের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। স্মার্ট ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং শীর্ষক গ্রন্থের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কোচ কামরুল হাসান।

অনুষ্ঠানে লেখকদের পাশাপাশি বেস্ট সেলার বইয়ের প্রকাশকদেরও অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

Advertisement

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের এক বইমেলায় যত বই প্রকাশ হয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সারা বছরেও তা প্রকাশিত হয় না। মানের বিবেচনা ছাপিয়ে এই বিপুলসংখ্যক বই প্রকাশের মাধ্যম জাতিগত সৃজনশীলতারই প্রকাশ ঘটে। হয়তো এ কারণেই পশ্চিমবঙ্গের লেখকরা বলেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই টিকে থাকবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।

আকবর আলী খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আবশ্যিক অংশ হলো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা। আর সেই দৃষ্টান্ত রেখে ক্রমশ সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে দেশের সাহিত্য ভুবন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভালো মানুষ হতে বই পড়ার বিকল্প নেই। যে বই পড়ে তার মধ্যে সংবেদনশীলতা জন্ম নেয়। আর একজন সংবেদনশীল মানুষ কখনো অসৎ হতে পারে না, অন্যায় করতে পারেন না।

রকমারি ডটকমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, ২০১২ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে অনলাইন বই বিক্রি প্রতিষ্ঠান রকমারি ডট কম। প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলার পাশাপাশি সারা দেশের মানুষের কাছে ঘরে বসে বইমেলার আনন্দ পৌঁছে দিতে অনলাইন বইমেলার আয়োজন করে রকমারি। আগের বছরগুলোতে বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করলেও সশরীরে এত বড় আয়োজন এই প্রথম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক প্রমুখ।

এএএম/কেএসআর