রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার কোনো একটি বিপদ দূর করে দেবে, আল্লাহ তাআলা আখেরাতে তার একটি (কঠিন) বিপদ দূর করে দেবেন। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, বানবাসী, বন্যা-ঝড়-জলোচ্ছ্বাস-পাহাড় ধ্বস ও ভূমিকম্পে আক্রান্ত বিপদগ্রস্ত মানুষের উপকারে এগিয়ে আসা এবং তাদের জন্য দোয়া করা জরুরি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিপদগ্রস্ত মানুষ দেখলে একটি চমৎকার দোয়া করতে বলতেন। কী সেই দোয়া?
Advertisement
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কেউ বিপদগ্রস্ত লোক দেখলে বলবে (এ দোয়া পড়বে)-
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ – وَ فَضَّلَنِىْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَا
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আফানি মিম্মাবতালাকা বিহি; ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদিলা।’
Advertisement
অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে বিপদাক্রান্ত করেছেন; তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তিনি তার মাখলুক থেকে মাখলুকের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ তখন তাকে এ মুসিবত কখনো স্পর্শ করবে না।’ (তিরমিজি)
সুতরাং অন্যের বিপদ দেখলে অবহেলা নয়!
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো ও শেখানো আমল এবং দোয়ার মাধ্যমে অন্যের বিপদে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিপদ লাগবে আল্লাহর কাছে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা জরুরি। আর তাতে একটি অবহেলিত সুন্নাতের ওপর আমল জারি হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য এভাবে নিয়মিত দোয়া করার তাওফিক দান করুন। সুন্নাতের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জিকেএস