আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল বিষয়ের পথ নির্দেশ করেছেন। বার্ধক্যেও মানুষের কোনো কোনো বিষয়ের যৌবন আসতে পারে। সে সময়ের বিপদ থেকে হিফাজত থাকতে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পথ নির্দেশ করেছেন। আল্লাহ বলেন-এবং ধৈর্য্য ও নামাজ দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা কর। অবশ্য নামাজ অত্যন্ত কঠিন কাজ বটে তবে সে সব লোকদের জন্য কঠিন নয়। যারা মনে রাখে যে, তারা স্বীয় প্রভুর দরবারে হাজির হবে এবং তার নিকট ফিরে যেতে হবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৪৫-৪৬)পূর্ববর্তী আয়াতে ইয়াহুদি ধর্ম-যাজকদের ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও ইসলাম গ্রহণে বিরত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাদের এহেন ঘৃনিত কাজের জন্য তাদেরকে তিরষ্কার করেছেন আর অত্র আয়াতদ্বয়ে তাদের সংশোধনের পথ-নির্দেশ করেছেন।মানুষের মনে অন্যায় আচরণ প্রলুব্ধকারী কাজ হচ্ছে দুটি। তার একটি হচ্ছে পদ-মর্যাদা ও অপরটি অর্থলোভ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে, মানুষ বয়োঃবৃদ্ধ হয় (কিন্তু তার পাশাপাশি) সেই মানুষের মধ্যে দু`টি চরিত্র যৌবন লাভ করতে থাকে- একটি অর্থ-সম্পদের লিপ্সা, অন্যটি পদ-মর্যাদার লোভ। মূলত এগুলো হলো মানব অন্তরের ব্যাধি। আর এ ব্যাধির মহৌষধ হলো নামাজ এবং সবর।তাই অত্র আয়াতদ্বয়ে সত্য-গ্রহণের অন্তরায় তথা অর্থ-সম্পদ ও পদ-মর্যাদার লোভ দূরীভূত করার লক্ষ্যে নামাজ ও সবর দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নামাজের মাধ্যমে যে বিনয় ও নম্রতার শিক্ষা লাভ হয়, তা দ্বারা পদ-মর্যাদা লাভের যে লোভ মানব অন্তরে সৃষ্টি হয়, তা দূরীভূত করা সম্ভব হয়। ঠিক এভাবেই সবর বা ধৈয্য হচ্ছে, অর্থ-সম্পদের লোভ থেকে বিরত থাকার সার্থক প্রতিষেধক।সুতরাং আল্লাহ তাআলার নির্দেশ অনুযায়ী নামাজ বাস্তবায়ন করি, ধৈয্যশীল হই। তবেই আল্লাহ তাআলা মানব অন্তরে মহা বিপজ্জনক রোগ থেকে হিফাজত করবেন। উক্ত কর্ম সম্পাদনে তাঁরই তাওফিক কামনা করি। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement