লাইফস্টাইল

৪০ পেরোলেই বাবাদের যে ৫ মেডিকেল টেস্ট করা জরুরি

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সবার হাড় ও পেশি দুর্বল হতে শুরু করে। বাবার বয়স বাড়লে সন্তানদের উচিত তাদের যত্ন নেওয়া। বাবারা কখনো মুখ ফুটে শারীরিক সমস্যার কথা জানান না। সন্তান হিসেবে আপনার উচিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪০ এর পর থেকেই শরীর বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। এই বয়সের পর ডায়াবেটিস, রক্তচাপ বৃদ্ধি, থাইরয়েড, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, প্রোস্টেট বৃদ্ধির মতো সমস্যা বাড়তে শুরু করে।

তবে নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করালে সব ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায় দ্রুত। কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল চেকআপ আছে, যেগুলো আপনি আপনার বাবার ভালো স্বাস্থ্যের জন্য করতে পারেন। জেনে নিন কী কী-

>> ডায়াবেটিস এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই ছড়িয়ে পড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, ৪০ বছরের বেশি বয়সের পর পুরষের উচিত রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করা। রক্তে শর্করা পরীক্ষা করার জন্য এইচবিএ১সি পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

>> উচ্চ রক্তচাপ এখন তো কমবয়সীদের মধ্যেও বেড়ে যাচ্ছে। জানেন তো, উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও স্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন। মনে রাখবেন, স্বাভাবিক রক্তচাপের পরিসীমা ১২০/৮০ এমএমজিএইচ এর কম।

>> উচ্চ রক্তচাপের মতো উচ্চ কোলেস্টেরলও একটি গুরুতর সমস্যা। যদিও এই রোগের লক্ষণ দেরিতে প্রকাশ পায়। ৩৫ বছরের বেশি বয়সের পর প্রত্যেকের প্রতি ৫ বছরে পুরুষের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত।

স্থূলতা বা ধূমপানের আসক্তি আছে যাদের, তাদের হাই কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেশি। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

Advertisement

>> প্রোস্টেট অ্যান্টিজেন বা পিএসএ পরীক্ষা করতে হবে ৪০ এর পর। প্রায় ৪ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন তার জীবদ্দশায় প্রোস্টেট ক্যানসার আক্রান্ত হন। তবে রিনয়মিত মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে এই রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে নাক্ত করা যায়।

>> থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। ওজন বৃদ্ধি বা ক্লান্তি হতে পারে এর মূল লক্ষণ। টিএসএইচ পরীক্ষার মাধ্যমে থাইরয়েড কতটা ভালো কাজ করছে তা পরীক্ষা করা যায়। উচ্চ বা নিম্ন থাইরয়েড দুটোই পুরুষের উর্বরতা প্রভাবিত করতে পারে।

আজ বিশ্ব বাবা দিবস। জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় এই দিবস। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে পিতৃ দিবস পালন শুরু হয়। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস