ধর্ম

ঋণ থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?

ঋণগ্রস্ত কিন্তু নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। ঋণ থাকার কারণে তার কোরবানির হুকুম কী হবে? সেকি কোরবানি দিতে পারবে? এ ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনাই বা কি?

Advertisement

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তার কোরবানি দেওয়া আবশ্যক কিনা তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির অবস্থার ওপর। তখন প্রশ্ন জাগে-

‘ঋণের পরিমাণ কত? ঋণ পরিশোধ করলে যে সম্পদ থাকবে, তা কি নেসাব পরিমাণ হবে?

প্রশ্নের আলোকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তাদের কোরবানির বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে-

Advertisement

১. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করার পর কোরবানির সময়ে তার নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক নয়।

২. আর যদি ঋণ পরিশোধ করার পরও কোরবানির সময়ে সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যও কোরবানি আবশ্যক।

মনে রাখতে হবে,

কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ সারাবছর গচ্ছিত বা জমা থাকা আবশ্যক নয়। বরং কোরবানির দিনগুলোতে যদি কারো কাছে ঋণ ও বাৎসরিক খরচ মেটানোর পর অতিরিক্ত অর্থ থাকে আর তা সাড়ে ৭ ভরি/তোলা সোনা ও সাড়ে ৫২ তোলা/ভরি রুপার সমপরিমাণ অর্থ থাকে তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে।

Advertisement

বর্তমান সময়ে সোনা-রুপার মূল্য অনুযায়ী কারো কাছে যদি সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকাও থাকে তবে তাকে রুপার নেসাব পরিমাণ অর্থের বিধান অনুযায়ী কোরবানি দিতে হবে।

সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানো ও ঋণের পরও যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ সোনা বা রুপা থাকে কিংবা বাজার দর অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা থাকে তবে ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের যথাযথভাবে বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম