বান্দার সঙ্গে আল্লাহর প্রেমের সর্বোচ্চ সেতুবন্ধন হলো হজ। হজ পালনেচ্ছুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে- ‘তালবিয়া’। ইহরাম বাঁধার পরপরই কাবা শরিফে পৌঁছার আগ পর্যন্ত আল্লাহর সানিধ্যে হাজির হওয়ার এ স্লোগানে মুখরিত থাকে পুরো যাত্রাপথ। হজের তালবিয়া সবার জন্য খুবই জরুরি। কেননা এ স্লোগানেই আরাফার ময়দানে উপস্থিত হবেন হজযাত্রীরা। হজযাত্রীদের সুবিধার্তে বাংলায় উচ্চারণ ও অর্থসহ হজের তালবিয়া তুলে ধরা হলো-
Advertisement
তালবিয়াi) لَبَّيْكَ ا للّهُمَّ لَبَّيْكَii) لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَiii) اِنَّ الْحَمدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَiv) لاَ شَرِيْكَ لَكَ
তালবিয়ার উচ্চারণ
১. ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক,
Advertisement
২. লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক,
৩. ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক্,
৪. লা শারিকা লাক।’
তালবিয়ার অর্থ
Advertisement
১. ‘আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত!
২. আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই।
৩. নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার।
৪. আপনার কোনো অংশীদার নেই।
তালবিয়া পড়ার নিয়ম
হজ-ওমরাহ পালনেচ্ছুগণ মিকাতে (যেখানে ইহরাম বাঁধতে হয়) পৌঁছে অথবা তার আগে থেকে গোসল বা ওজু করে (পুরুষগণ ইহরামের কাপড় পরে) ২ রাকাত নামাজ পড়ে কেবলামুখী হয়ে হজ-ওমরার নিয়ত করবে। নিয়ত শেষে অন্তত ৩ বার (পুরুষগণ উচ্চ শব্দে) ৪ নিঃশ্বাসে তালবিয়াহ পাঠ করবে। নিয়ত ও তালবিয়ার দ্বারা ইহরাম বাঁধার কাজ সম্পন্ন করার পর বেশি বেশি তালবিয়াহ পড়তে থাকা উত্তম। হজযাত্রীরা এ তালবিয়া তাওয়াফের স্থানে (বাইতুল্লা/কাবা শরিফ) প্রবেশের আগ পর্যন্ত পুরো পথেই পড়তে থাকবেন।
উল্লেখ্য, পবিত্র নগরী মক্কায় হজ পালনেচ্ছুদের যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও ৫ জুন রোববার প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে যারা সরাসরি পবিত্র নগরী মক্কায় যাবেন; তাঁরা বাংলাদেশ থেকেই ইহরাম বেঁধে রওয়ানা হবেন। তাদের জন্য ইহরাম পরবর্তী সময় তিনবার তালবিয়া পাঠ করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা সব হজযাত্রীকে বেশি বেশি তালবিয়া পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস