সাহিত্য

আদি সানমের তিনটি কবিতা

হাতঘড়ির কোলাহল

Advertisement

এমন জন্মনাড়ের সঙ্গতায় এক নৃত্য সম্ভ্রম বাঁচিয়ে চিকন মসলিন কুয়াশার মতো নিরীহ বৃষ্টিধূসর দিনে রৌদ্র থেকে শহরে লাল ইটের রং ঢেকে ওঠা বাড়িটার পাশে বটফলের শালিক ছায়ার এস্রাজ প্রভা খুব ঘোরলাগা বিনিময়ে নেমে এলো, অবিরাম আনন্দ, দিনশেষে-এ পৃথিবীর মাঝপথে প্রভুর শাদা প্রার্থনা ঠেকিয়ে সব প্রকাশ আর চমৎকার উল্লাস নিয়ে সুন্দরের কোলাহলেসন্ধ্যার অপরূপ লাবণ্য ডুব দেয় শান্ত হাতঘড়ি সমুদ্রে;

****

জেদি মুখ

Advertisement

বাজারের প্যাকেটে বয়ে নিচ্ছে রাত্রিগুলোর ঝিঁঝিঁডাক-চকচকে নিপুণ আঙুলের স্পর্শ বসানো জেদিমুখ-মুখরিত আর গোলার্ধ চোখ এবং সাংসারিকঝগড়ার গভীরে শস্যক্ষেত; মৃত্যুর আগে-পথ, তোমার এই অলীক বনে কতবার নেমেছে,প্রেমিকার নার্সিং ছায়া, জানবার ছিল। কত গাছপাতার শিস খসায়ে নিজের ডাকনামে বিকেল বলেসন্ধ্যার সঙ্গীন ঘড়িকাঁটায় পেরোয়ে গেছেরাতভর আলাপ, আচ্ছা, সব শেষে বলতে পার?বেদনা ফলাতে কী খুব জোর নীরবতার আংশিকসুন্দর প্রয়োজন!

****

হরিণসন্ধ্যায় জলের গান

অথচ এই দিনগুলো, আজও বাতাসে ওড়ে।ফিটকিরি ধোয়া বিশুদ্ধ দূর বন হতেহরিণসন্ধ্যায়-মাংসত জ্যোৎস্নার মুখস্থএক শব্দের পাশে পয়সার মতোবৃষ্টির ফোঁটা জমাট বেঁধে একটানির্জন স্নানের গান বেজে যাচ্ছে।বোধহয়, কারোর সুর চুরি করেআমিও নবান্ন প্রেমের মুখোমুখিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ চুমুর দুরূদ শব্দ ঘটাই।আর বাইসাইকেল হেলান দিয়েবিষণ্ণ ঠোঁটবতী নারীর মেঘময় শহরেদাড়ি-কমার ঢেউয়ে শিকারি ধরেবেল বাজায়ে যায়ল্যাম্পপোস্টের গা ঘেঁষে বেড়ে ওঠাকাঠ চেরাইয়ের বাণিজ্য মেশিন,রাত্রি নেমে আসে-মেঘের ভেতরেবহু উদাসীন জলের গায়ে বিউগল ফেনা ঢুকে...

Advertisement

এসইউ/জেআইএম