কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং তার প্রয়োগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন। তিনি বলেন, এ কাজ সরকার একা করতে পারবে না, এজন্য কৃষিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে।শুক্রবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা মিলনায়তনে, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির আয়োজনে ১৫তম জাতীয় সম্মেলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. উত্তম দেব। বিশ্বে প্রতি ৯ জনের একজন অভুক্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায় মন্তব্য করে তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতিদিন ৫ হাজার ২৪৭ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি বছর ১৯ লাখ ২৫ হাজার লোক যুক্ত হচ্ছে। তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয়। তিনি বলেন, আমরাও তাদেরকে পুষ্টি ও মানসম্মত খাবার দিতে পারি না।কৃষিকে অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার কারণে নানামুখি খাবার সরবরাহ করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তাই জনগণকে কৃষি সম্পৃক্ত প্রকল্প গড়ে তুলতে হবে। ৪০ বছর আগে এদেশে কৃষি উৎপাদন ছিল ১১ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এখন মোট কৃষিজ উৎপাদন ৩৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন।তিনি বলেন, স্বাধীনতা পর খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। জনসংখ্যা বেড়েছে দুইগুণ। ক্রম হ্রাসমান প্রান্তিক প্রতি আয়ের কার্যকারিতার কারণে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যে প্রবৃদ্ধি ছিল, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত কম হারে হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও কৃষিকে অটোমেশন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এএইচএম কায় খসরু, মহাসচিব আহছানুজ্জামান লিন্টু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এম সাত্তার মণ্ডল প্রমুখ।এএম/এআরএস/পিআর
Advertisement