লাইফস্টাইল

শাড়ির প্রতি রয়েছে আলাদা দুর্বলতা : তানজিন তিশা

রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকেন তাদের অনেকসময় চোখ আঁটকে যায় রাস্তার পাশের বড় বড় বিলবোর্ডগুলোতে। অধিকাংশ বিলবোর্ডে দেশসেরা বিভিন্ন পণ্যের মডেল হিসেবে এক মিষ্টি মেয়ের মুখ দেখা যায়। বলছি মডেল অভিনেত্রী তানজিন তিশার কথা। সুহাসিনী এই মডেল একাধারে টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, মডেলিং, অভিনয় করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা তিশা তার লাইফস্টাইলের কথা জানালেন জাগো নিউজের সঙ্গে-তিশা প্রথমেই জানালেন পোশাকের কথা। একেক সময় একেক ঢঙের পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। তবে সবক্ষেত্রেই আরামদায়ক পোশাককে প্রাধান্য দেন। তিশার পছন্দের পোশাক ট্র্যাডিশনাল ধাঁচের তবে স্কাইও পরতেও পছন্দ করেন। এছাড়া শাড়ির প্রতি তিশার রয়েছে খানিকটা দুর্বলতা। তিশা বলেন, ‘পোশাকে মানুষের ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ। তাই পোশাকের ক্ষেত্রে আমি অনেক সচেতন।’ আরো বলেন, ‘বাসায় এবং বাইরে বেড়াতে গেলে কিংবা কোনো পার্টিতে গেলে সময়োপযোগী পোশাক পরি।’তানজিন তিশার প্রিয় রঙ গোলাপি। এছাড়া সাদা, কালো রঙও ভালো লাগে তার। পছন্দের পোশাকের সাথে রঙ মিলিয়ে গহনা পরতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। এজন্য হালকা গড়নের ডায়মন্দের গহনাও পড়েন তিশা। পোশাকের ক্ষেত্রে পছন্দের ব্র্যান্ড জারা।খাওয়া-দাওয়া নিয়ে তিশার পছন্দে আগে রয়েছে চিকেনের যেকোনো আইটেম। তাছাড়া প্রেস্টি, চকলেট, আইসক্রিম, থাইফুডের প্রতি লোভ সামলাতে পারেন না তিনি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিশা বললেন, ‘বাইরের যতো খাবারই পছন্দ করি না কেন আমার মায়ের হাতের রান্নার কোনো তুলনা নেই। মায়ের হাতের রান্না করা যে কোনো খাবারই ভালো লাগে।’শুটিং থাকলে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তিশা আর শুটিং না থাকলে কিছুটা বেলা হয়। তবে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে হালকা পানীয় খেয়ে কিছুটা শরীরচর্চা করেন। আর মেকআপের ক্ষেত্রে তিশা সবসময়ই লাইট মেকআপ করেন থাকেন। এটাই নাকি তার দারুণ পছন্দের। তিনি বলেন, অনেকে ডার্ক মেকআপ নেয় কিন্তু আমার ওটা ভালো লাগে না। সবসময় ম্যাক ব্র্যান্ডের মেকআপ ব্যবহার করেন বলেও জানালেন তিশা।এছাড়া তিশার দুর্বলতা আছে পছন্দের জুতার উপর। বললেন, ‘সুজ পরতেই বেশি ভালো লাগে। এ জন্য যখন পছন্দ হয় তখনই পছন্দের সুজটি কইনে ফেলি।’ শুধু তাই নয়, পছন্দের জুতারও একগাদা সংগ্রহ আছে তার। এছাড়া সুগন্ধি ব্যবহার করেন গুচি, ভিক্টোরিয়া সিক্রেট, ভারসেক।  রঙিন দুনিয়ার মানুষ তিশা কিন্তু স্বভাবগতই নতুন চলচ্চিত্রের প্রতি তার আছে বিশেষ আগ্রহ। তিশা বলেন, ‘যেকোনো দেশের ছবিই আমার ভালো লাগে। সামনে যেটা পাই সেটাই দেখি। বলতে পারেন আমি সিনেমাখোরদের একজন!’ব্যস্ততার ফাঁকে অবসর পেলেই তিশা কাছে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠেন। বললেন, ‘আমি তুখোড় আড্ডাবাজ। হাসি-ঠাট্টায় যেকারো পেটে খিল ধরিয়ে দিতে পারি! এজন্য আমার ফ্রেন্ডসদের মধ্যে আমার আলাদা ডিমান্ড আছে।’তিশার পছন্দের ঋতু শীতকাল। হিম শীত আর কুয়াশা জমে থাকা ঘাস মাড়িয়ে হাঁটলে জগতের প্রশান্তি খুঁজে পান তিনি। তাছাড়া শীতের দিন নিজেকে উষ্ণ কাপড়ে মুড়িয়ে রাখার মাঝে ভালোলাগা খুঁজে পান। আলাপের শেষে তানজিম তিশা জানালেন তার পছন্দের ঘোরার স্থান দেশের বাইরে মালদ্বীপ এবং দেশের ভিতর কক্সবাজার এবং বান্দরবনের পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তা ও সেখানকারন নয়নাভিরাম প্রকৃতি।এনই/এইচএন/আরআইপি

Advertisement