ভ্রমণ

প্রকৃতিকন্যার সৌন্দর্যের লীলাখেলা

জাবেদুর রহমান

Advertisement

এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে প্রকৃতিকে ভালোবাসে না কিংবা প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে না। তাই তো ঈদের ছুটি কাটাতে আর মনের খোরাক মেটাতে সিলেটের ভারত সীমান্তঘেঁষা পাহাড়বেষ্টিত সৌন্দর্যের রানী ‘প্রকৃতিকন্যা’ নামে খ্যাত জাফলংয়ে ছুটে চলা।

জাফলংয়ে গিয়েছি কয়েকবার। তারপরও প্রকৃতির কন্যাকে দেখতে মন চায় আরেকবার। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, সকাল ৭টায় নবীগঞ্জ থেকে জাফলংয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি। যাত্রায় নানা রকম গান আর হাসি-তামাশায় মনে আনন্দের জোয়ার।

চারদিকে সবুজ-শ্যামল সমতল ভূমি আর পাহাড়বেষ্টিত দৃষ্টিনন্দন জায়গা দেখতে দেখতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর আমরা পৌঁছে যাই নির্ধারিত গন্তব্যে।

Advertisement

গাড়ি থেকে নামার আগেই প্রকৃতিকন্যার অপূর্ব চেহারা সবাইকে মুগ্ধ করে তোলে। প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে মনের আনন্দে এদিক থেকে ওদিক সবার ছুটে চলা। প্রায় ১৫ মিনিট পর সবাই এক হয়ে যাত্রা শুরু করি সোজা ভারতের সীমান্তে অবস্থিত পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানির দিকে।

সেখানে সবাই মিলে সাঁতার কাটার আনন্দটাই ছিল অন্যরকম। মনে হচ্ছিল যদি এখানে সবাই থেকে যেতে পারতাম। তাহলে বারবার প্রকৃতিকন্যাকে দেখতে পেতাম। এ ছাড়া এদিকে পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। সেই সঙ্গে আকর্ষণীয় করে তুলেছে আমাদের ভ্রমণপিপাসু হৃদয়কেও।

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের একটি পর্যটনকেন্দ্র এটি। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে স্তরে স্তরে সাজানো সবুজ গাছপালা, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ এবং ডাউকি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবিরাম প্রবহমান জলপ্রপাত দেখলেই মন ভরে যায়। জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে মায়াবী ঝরনায় নৌকায় যেতে ১০ মিনিটের আনন্দ আরও দ্বিগুণ।

সর্বোপরি এক এক করে সব জায়গা ঘুরে দেখি আমরা। হাসি-আনন্দে সারাক্ষণ অতিবাহিত হয় আমাদের এ যাত্রা। ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে তোলা হয় নানা ভঙ্গিমায় স্থিরচিত্র। দেখতে দেখতে চলে যায় অনেকটা সময়। স্মৃতির পাতায় স্মৃতিময় হয়ে থাকবে ‘প্রকৃতিকন্যা’ নামে খ্যাত জাফলং।

Advertisement

লেখক: শিক্ষার্থী, স্নাতক ৪র্থ বর্ষ, ইংরেজি বিভাগ, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ।

এসইউ/জিকেএস