দেশজুড়ে

যশোরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা

যশোরে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনার সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা হাসান ইমাম বাবলু, বিল্লাল হোসেন ও সায়রা বেগম আহত হয়েছেন। এরপর স্থানীয়রা সংগঠিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে তাদের একটি মুরগির খামার পুড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শহরের মুজিব সড়ক রেলগেট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শহরের রেলগেট এলাকার মোটর পার্টস ব্যবসায়ী ইমন হোসেন, লুৎফর রহমান ও অসিত রায়ের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী সাগর হোসেন এবং রমজান আলীসহ তার পক্ষের লোকজন। এ বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জানানো হলে তারা শুক্রবার বিকেলে শহরের রেলগেট এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে এ বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় সেখানে ছিলেন চাঁদা দাবি করা সাগর। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হন। এসময় মুঠোফোনে তার ভাইসহ স্বজনদের ডেকে এনে আওয়ামী লীগ নেতা হাসান ইমাম বাবলুসহ উপস্থিত নেতাকর্মীদের মারপিট করেন ও কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। পরে এক রাউন্ড গুলিবর্ষণেরও ঘটনা ঘটে।এসময় আতঙ্কে আশপাশের লোকজন পালাতে থাকে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান ইমাম বাবলুর নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে হামলাকারী সাগর পক্ষকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তারা পিছু হটলে তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়। তখন সাগরের বাড়িতে থাকা মুরগির ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিতরা।যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) গণি মিয়া বলেন, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। পরে উত্তেজিত লোকজন সাগরের বাড়িতে হামলা করে। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।মিলন রহমান/এমএএস/এমএস

Advertisement