ঠান্ডা লাগলে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত অ্যালার্জি, শুষ্ক বায়ু বা সাধারণ ঠান্ডার মতো ভাইরাল সংক্রমণের কারণে নাক বন্ধভাব হতে পারে।
Advertisement
তবে শিশুরা নিজেরাই শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে পারে না। এ কারণে সমস্যাটি তীব্র আকার ধারণ করে। তাই শিশুর নাক বন্ধ হলে কিংবা সর্দির সমস্যা দেখা দিলে ঘরোয়া কয়েকটি উপায় মেনে চলুন-
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুসারে, শিশুর ৪ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ডিকনজেস্টেন্ট ওষুধ দেওয়া যাবে না। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অটোল্যারিঙ্গোলজির পরিচালক মাইকেল রথসচাইল্ড জানান, ‘স্যালাইনের পানি একটি নাকের ড্রপারের সাহায্যে শিশুর নাকে একটু একটু করে দিলে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হবে। স্যালাইন দ্রবণই হলো শিশুর জন্য একমাত্র নিরাপদ অনুনাসিক স্প্রে।’
Advertisement
স্যালাইন দ্রবণ ব্যবহারের নিয়ম কী?
এজন্য শিশুকে সোজা করে শুইয়ে দিন। সম্ভব হলে মাথাটি সামান্য কাঁত করুন। তারপর প্রতিটি নাসারন্ধ্রে ২-৩ ফোঁটা স্যালাইন স্প্রে করুন। এর ফলে শিশু হাঁচি দিতে পারে, যা স্বাভাবিক। নাক থেকে কোনো তরল বের হলে টিস্যু দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন।
এছাড়া আরও এক উপায় হলো স্টিম বাথ দেওয়া। এজন্য আপনি শিশুকে নিয়ে একটি কিছুক্ষণ বাথরুমে স্টিম বাথ নিন। গরম বাষ্পযুক্ত বাথরুমে থাকার ফলে শিশুর বন্ধ নাক খুলবে।
শিশুর সর্দি-কাশির সমস্যায় তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রামে রাখুন। এ সময় তার ঘুমের প্রয়োজন হবে। তাই শিশুর ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে ঘরের পরিবেশ শান্ত রাখুন।
Advertisement
এর পাশাপাশি শিশুর যেন পানিশূন্যতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নাক বন্ধ অবস্থায় শিশুকে বসানোর ভঙ্গিতে খাওয়ান। এ সময় শুইয়ে জোর করে খাওয়াবেন না শিশুকে।
তারপরও যদি আপনার শিশুর যদি শ্বাস নেওয়ার সময় গলায় আওয়াজ হয়, খেতে সমস্যা হয় বা জ্বর হয় তবে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
সূত্র: প্যারেন্টস
জেএমএস/এমএস