৬ষ্ঠ হিজরির কথা। কোরআনের ঘোষণায় প্রকাশ্য বিজয় খ্যাত ‘হুদায়বিয়া সন্ধি’র বছর ছিল সেটি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪শ’ সাহাবি নিয়ে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় রওয়ানা হয়ে হুদায়বিয়ায় পৌছলে নবিজীর ঈমান জাগানিয়া এ মুজেজাটি প্রকাশ পায়। কী ছিল নবিজীর সেই মুজেজা?
Advertisement
নবিজী মুসলিম কাফেলা নিয়ে হুদায়বিয়ায় পৌঁছলে কুরাইশরা মুসলিম কাফেলাকে বাঁধা দেয়। সেখানেই ঘটে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। যা হজরত মুসা আলাইহিস সালামের পানির সমস্যার সমাধানের চেয়ে আশ্চর্যজনক।
সেখানে প্রচণ্ড পানির পিপাসায় ভুগছিলেন সাহাবায়ে কেরাম।। তাঁরা বিশ্বনবির কাছে পানির কষ্টের কথা প্রকাশ করলেন। তখন নবিজী বললেন, তোমাদের কারো কাছে সামান্য পানি থাকলে তা আমার কাছে নিয়ে আসো।
সাহাবাগণ একটি পাত্রের খুবই সামান্য পানি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পেশ করলেন। সুবহানাল্লাহ! কি অলৌকিক ব্যাপার! নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে পানিতে তাঁর পবিত্র হাতের আঙুল রাখতেই পানির ফোয়ারা বইতে লাগলো। তাঁর পবিত্র আঙুলগুলো থেকে ঝরনাধারার মতো পানি বের হতে লাগলো।
Advertisement
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাগণকে নির্দেশ দিলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী পানি নিয়ে পান করার জন্য। অল্প সময়ের মধ্যে কাফের ১৪শ’ সাহাবিই পানি নিলেন। আল্লাহর অশেষ কুদরতে সবার সামনে নবিজীর জীবন্ত মুজেজায় সবাই নিজেদের পানির প্রয়োজন পূরণ করলেন। এটি ছিল নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজা। নবুয়ত ও রেসালাতের সত্যতার অনন্য দৃষ্টান্ত। ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য ঈমান জাগানিয়া নিদর্শন।
আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবি-রাসুলদের মাধ্যমে এমন অলৌকিক ঘটনাবলী তথা মুজিজা প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। যা ছিল আল্লাহর একত্ববাদের সত্যতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এসব ঘটনার বর্ণনা ইসলামের অনুসারী মুমিন মুসলমানের ঈমানকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement