বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এখন ইউটিউব। শুধু বিনোদনের মাধ্যমই নয়, আয় করারও অন্যতম উৎস এটি। বিশ্বের হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত এখান থেকে আয় করছেন লাখো ডলার। এবার এক যুবক ইউটিউব থেকে আয় করেছেন ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তাও আবার মাত্র ৪২ সেকেন্ডেই।
Advertisement
এই অসাধ্য সাধন করেছেন জোনাথান মা নামের এক ইউটিউবার। ইউটিউব থেকে আয় করা সেই অর্থের কিছু তাকে কর বাবদ দিতে হয়েছে। সেই টাকা বাদ দিয়ে তার মোট আয় হয় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই পুরো বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে।
অর্থ উপার্জনের এখন অন্যতম এক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। তবে সেখান থেকে অল্পদিনে ইনকাম করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে কন্টেন্ট আপলোড করার পরেই আয় করা যায়। তাও খুবই সামান্য। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে অর্থের পরিমাণ।
ইউটিউবে কন্টেন্ট অনুযায়ী টাকা উপার্জন সম্ভব। কন্টেন্ট আপলোড থেকে শুরু করে সেগুলোর ভিউ অনুযায়ী অর্থ দেয় সংস্থাটি। অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজড থাকতে হবে। তবেই টাকা আয় করা সম্ভব।
Advertisement
তাহলে জোনাথান কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটালেন, সেই প্রশ্ন ঘুরছে অনেকের মাথায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সেই রহস্য-
জোনাথানের ইউটিউব চ্যানেলটির নাম জোমা টেক (joma tech)। তিনি মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি, ব্লকচেইন ও এনএফটি (NFT)র উপর কন্টেন্ট তৈরি করেন। ভবিষ্যতে একজন সিনেমা পরিচালক হওয়ার ইচ্ছে তার।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ফেসবুকে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন জোনাথান। এরপর তিনি গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
তবে কোথাও মন বসছিল না তার। কারণ নিজে কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। একই সঙ্গে তার পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন তো ছিলই। গুগলের চাকরি ছেড়ে ফুলটাইম ইউটিউবার হয়ে যান।
Advertisement
এরই মধ্যে প্রচুর এনএফটি নিজের সংগ্রহে রাখেন জোনাথান। সেখান থেকেই বেশ কিছু এনএফটি বিক্রি করে মোটা অংকের ডিজিটাল কারেন্সি সংগ্রহ করেন।
এ ছাড়াও চলতি মাসের শুরুতেই ভ্যাক্সড ডগোস (Vaxxed Doggos) নামে একটি কালেকশন সামনে নিয়ে আসেন। এর মাধ্যমেই তিনি ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন।
জোনাথান ২০১৬ সালে তার ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন। বর্তমানে জোনাথানের ইউটিউব চ্যানেলে ১৬.৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার আছে। এনএফটি থেকে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে মাসে লাখ লাখ ডলার উপার্জন করছেন তিনি।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
কেএসকে/এমএস