সমাজে সন্দেহ-অবিশ্বাস, ঝগড়া-বিবাদ, হারানো বা চুরি হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে অনেকেই কোরআনের কসম করেন। কোরআন হাতে নিয়ে বা মাথায় নিয়ে কসম খায়। আবার অনেকে রাগের বশবর্তী হয়ে পরস্পর এমন শর্তজুড়ে দিয়ে কসম খায় যে- ‘কোরআনের কসম! এ কাজটি করবো না; কিংবা কোর ছুঁয়ে/হাতে নিয়ে বা ধরে শপথ করছি! আর কখনো এমনটি করবো না ইত্যাদি...।
Advertisement
কিন্তু এভাবে কসম খাওয়া যাবে কি? এভাবে কসম খেলে কি তা সংঘটিত হবে? আবার সময়ের ব্যবধানে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে বা পরস্পর পুনরায় সুসম্পর্ক তৈরি হলে এ কসম ভাঙ্গা যাবে কি?
কোরআনের কসম‘হ্যাঁ’, এভাবে কোরআনের কসম করলে তা কসম হিসেবে সংঘটিত হবে। আর যে বিষয়ে এ কসম করা হয়েছিল; সে বিষয় না মেনে পুনরায় একসঙ্গে মিলেমিশে চললেই কসম ভেঙে যাবে। আর এভাবে যে বা যারাই কসম করুক না কেন; তাদের এ কসমের জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে।
কসমের কাফফারাকসমের কাফফারা হল- ১০ জন মিসকিনকে ২ বেলা তৃপ্তি সহকারে খাবার খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে (১০ জন মিসকিনকে) এক জোড়া কাপড় দেওয়া। আর কাউকে খাওয়াতে বা কাপড় দিতে না পারলে একটানা ৩ দিন রোজা রাখা হলো কাফফারা।
Advertisement
মনে রাখতে হবেকসম একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলার নাম ছাড়া অন্য কোনো জিনিসের কসম করা বৈধ নয়। এমনকি কোরআন মাজিদের নামে কসম করাও নিষিদ্ধ।’ (বাদায়েউস সানাঈ, বাহরুর রায়েক, ও ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন মাজিদের নামে কসম করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আর কেউ কসম করে ফেলে তার কাফফারা আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস
Advertisement