নতুন জাতের বলসুন্দরী বরই চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মৌলভীবাজারের গিয়াস উদ্দিন। তিনি জেলার রাজনগর উপজেলার একামধু গ্রামের বাসিন্দা।
Advertisement
বাগান দেখতে গিয়ে কথা হয় গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে। এসময় আলাপকালে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের পর চাকরি হারাই। ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে অভাবের দিন শুরু হয়। দিশেহারা হয়ে পড়ি আমি।
তিনি আরও বলেন, নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করি বাড়ির পাশের জমিতে শাক-সবজি চাষ। জমির উর্বরতা ভালো দেখে পাশাপাশি ফল চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয় আমার। ২০২১ সালে নিজের আয় থেকে এক বিঘা জমি ক্রয় করি। গত বছর জুন মাসে যশোর থেকে নতুন জাতের চারা এনে রোপণ করি আপেল কুল ও বলসুন্দরী বরই। আমার বাগানে সাত মাসেই বরই ধরেছে।
এক বিঘা জমিতে ২০০ গাছের চারা রোপণ করি। মোট খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। সাত মাসেই ফল এসেছে। প্রতি গাছে ৩ কেজি থেকে প্রায় এক মণ পর্যন্ত বরই ধরেছে। আমি কয়েক লাখ টাকার আপেল কুল বিক্রি করতে পারবো।
Advertisement
প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা পাইকারি ধরে এখান থেকে ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে বরই নিয়ে যায়। তারাও লাভবান হচ্ছে আমিও লাভবান হবো। গিয়াস উদ্দিন রাজনগর উপজেলার একামধু গ্রামের হবিব মেম্বারের ছেলে।
বাগান দেখতে আসা মনহর মিয়ার (৫০) সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অল্প দিনে গাছে বরই ধরেছে বিষয়টি অবাক হওয়ার মতো। গিয়াসের পরিশ্রমী উদ্যোগে সে আজ বরই চাষে সফল হয়েছেন।
রাজনগর উপজেলা সদরের মাল্টা চাষি আল আমীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মাল্টার চেয়ে আপেল কুল লাভজনক। আমি মাল্টা চাষের পাশাপাশি নতুন জাতের আপেল কুল চাষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছি।
রাজনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. এনামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন হচ্ছে। আমরা চাষিদের সহযোগিতা করে আসছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে গিয়াস উদ্দিনকে জৈব সারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
Advertisement
আব্দুল আজিজ/এমএমএফ/এমএস