প্রেম কখন ও কীভাবে কার জীবনে আসবে তা বলা মুশকিল। তবে বুঝে শুনে তবেই প্রেম করা উচিত। কারণ প্রেমের সম্পর্ক তো আর দু’একদিনের জন্য গড়ে ওঠে না।
Advertisement
পছন্দের মানুষটির সঙ্গে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেন সবাই। আর সে স্বপ্নেরই প্রথম ধাপ হলো প্রেম। এরপর বিয়ের মাধ্যমে প্রেম পরিণতি পায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুদ্ধিমানদের জীবনে নাকি সহজে প্রেম আসে। এমনকি তারাও সহজে প্রেমে পড়েন না। এজন্য বুদ্ধিমানদের মনের মানুষ সহজে মেলে না। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ৭টি কারণের কথা বলা হয়েছে। চলুন তবে মিলিয়ে নেওয়া যাক-
>> বুদ্ধিমানরা বিশ্লেষণাত্মক প্রকৃতির হয়। তারা সম্পর্কে জড়ানোর আগে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবেন। অন্যান্য বিষয়ের মতো তারা সম্পর্ক নিয়েও অতিরিক্ত বিশ্লেষণ করেন।
Advertisement
যদিও এটি খারাপ বিষয় নয়, তবে অতিরিক্ত ভাবনাচিন্তা করে কখনো প্রেম হয় না। এজন্য বুদ্ধিমানরা সহজে ভালবাসার মানুষ খুঁজে পান না।
>> যারা অত্যধিক বুদ্ধিমান, তারা জানেন ভুল মানুষের সঙ্গে থাকার চেয়ে একা থাকা ভালো। এমন ব্যক্তিরা স্বভাবতই অশান্তি ও হৈচৈ পছন্দ করেন না।
তারা এমন কোনো মানুষের সঙ্গে থাকতে চান না যিনি অশান্তির কারণ হোক। এজন্য জীবনসঙ্গী নির্বাচনের আগে বারবার ভাবেন বুদ্ধিমানরা। আর এ কারণে মনমতো সঙ্গী খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে ওঠে।
>> স্মার্ট ব্যক্তিরা জীবনের রূঢ় বাস্তবতাগুলো জানেন ও কাল্পনিক জগত থেকে বেরিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণে সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতেই দিন পার করেন তারা। আবার প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সঙ্গীকে প্রতিশ্রতি দিতে ভয় পান।
Advertisement
>> বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা অনেকসময় অহংকারী প্রকৃতির হয়। এমন ব্যক্তি অন্যান্যদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ বুদ্ধিমানরা স্ট্রেট ফরওয়ার্ড হন। আর এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে ভয় পান অনেকেই।
>> প্রেম-ভালোবাসার চেয়ে বুদ্ধিমানরা জীবনের লক্ষ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দেন। তারা স্বভাবতই স্বপ্নদ্রষ্টা।
তারা লক্ষ্য অনুযায়ী জীবনে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন ও তা করেও দেখান। আর এসব কারণে প্রেম করার সময় পান না। আর যখন চান তখন পছন্দের সঙ্গী খুঁজে পান না।
>> স্মার্ট ব্যাক্তিদের যে কানো বিষয়ে রাজি করানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। আপনি যতই ভালো হোন, এমন ব্যাক্তিরা সহজে কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে পারেন না। বিশেষ করে প্রেমের বিষয়ে তারা সহজে হ্যাঁ বলেন না। আর এ কারণেই প্রকৃত ভালোবাসার মানুষকে হারান।
>> বুদ্ধিমানরা কারও সঙ্গে আপস করেন না। তারা নিজেদের মান-সম্মান নিয়ে সজাগ থাকেন। কারো কাছেই এমন ব্যক্তিরা ছোট হন না। আর ‘ইগো’ সমস্যার কারণে এমন ব্যক্তিদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস