সব পুরুষই কমবেশি দাড়ি কাটেন। অনেকেই লম্বা দাড়ি রাখেন, আবার অনেকেই নিয়মিত দাড়ি শেভ করেন। বিশেষ করে যারা কর্পোরেট সংস্থায় কাজ করেন তারা নিয়মিত অফিসে যাওয়ার আগে প্রতিদিনই দাড়ি কামান।
Advertisement
প্রতিদিন গালে রেজার ব্যবহার করার ফলে ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ ও শুষ্ক। তাছাড়া শেভ করার পরে ত্বকে জ্বালা-চুলকানিও হতে পারে। ত্বকে র্যাশও বের হতে পারে। এর ফলে অস্বস্তি বেড়ে যায়। আবার অনেকেরই শেভ করার পর মুখে ফুসকুড়িও বের হয়ে থাকে।
এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে, শেভ করার সময় কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। অনেক সময় মানহীন রেজার ব্যবহারের কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। তাই সবসময় ভালো কোয়ালিটির রেজার ব্যবহার করার উচিত। জেনে নিন শেভ করার পর যা যা করা উচিত-
>> ত্বক যত বেশি শুষ্ক হবে, শেভ করার পরে জ্বালা ও চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। তাই শেভ করার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে মুখে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক ময়শ্চারাইজড ও হাইড্রেটেড থাকবে।
Advertisement
>> লম্বা দাড়ি হলে প্রথমে কাঁচি দিয়ে ছেঁটে নিন। কারণ লম্বা দাড়ি রেজার দিয়ে কাটতে গেলে একই স্থানে একাধিক বার ব্লেড ছোঁয়াতে হয়। ফলে ত্বকে ক্ষত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
>> অনেকেই দাড়ি কাটার সময় চুলের বৃদ্ধির উল্টোদিকে রেজার চালান। যা একেবারেই ভুল। সব সময় চুলের বৃদ্ধি যেদিকে হয়েছে সেদিকেই শেভ করুন। যদি আপনি দাড়ি বৃদ্ধির উল্টো দিকে শেভ করেন, তাহলে চুলের ফলিকলের স্বাভাবিক বৃদ্ধির পক্ষে ব্যাঘাত ঘটবে।
>> দাড়ি কাটার জন্য সঠিক শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী শেভিং ক্রিম বা ফোম অথবা জেল বেছে নিন। যেসব ক্রিমে বেশি ফেনা হয়, সেগুলো ব্যবহার করুন। এতে ত্বক মোলায়েম থাকবে।
>> দাড়ি কাটার পর অবশ্যই মুখে লোশন ব্যবহার করুন। শেভ করার পর ত্বকের জ্বালা-চুলকানি কমাতে অবশ্যই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। অথবা আফটার-শেভ লোশন গালে মাখুন। তাহলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হবে জ্বালাভাব।
Advertisement
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমএস