জাগো জবস

তরুণদেরকেই গুরুত্ব দেয়া হয় : শ্রেয়া সর্বজয়া

শ্রেয়া সর্বজয়া একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের-সারা যাকের দম্পতির সন্তান এবং রেডিও স্বাধীনের স্টেশন ইন চার্জ মীর ফজলে রাব্বীর স্ত্রী। কর্মজীবনে রেডিও স্বাধীনের স্টেশন ইন চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পাশাপাশি মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ও করছেন। রেডিওতে ক্যারিয়ার গড়ার নানা বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। জাগো জবসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন গোলাম রাব্বী।জাগো জবস : পরিবার নাকি নিজের পছন্দেই রেডিওতে আসা?শ্রেয়া সর্বজয়া : হ্যাঁ, তাতো বটেই। আব্বু, আম্মু বহু বছর ধরে মিডিয়াতে সুনামের সঙ্গে আছেন। তাদের থেকে তো অবশ্যই অনুপ্রেরণা পেয়েছি, পাচ্ছি। তবে আমারও আগ্রহ ছিল মিডিয়ার মতো সৃজনশীল পেশায় কাজ করার। যেখানে আমি নিজের ক্রিয়েটিভ যোগ্যতা-দক্ষতা দেখাতে পারব।জাগো জবস : রেডিওতে কাজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মজার বিষয় কোনটি?শ্রেয়া সর্বজয়া : সবচেয়ে যেটা ভালো লাগে তাহল আমি কথা বলব আর কেউ আমাকে দেখবে না; কিন্তু আমার কথায় ও কাজে লিসেনাররা রোমাঞ্চিত ও আনন্দ অনুভব করবে, এ দিকটা রোমাঞ্চের।জাগো জবস : রেডিওর পাশাপাশি অন্য কাজ করলে কোনো বাধা সৃষ্টি হয় না?শ্রেয়া সর্বজয়া : না; একসঙ্গে মিডিয়ার বিভিন্ন অঙ্গনে বিচরণ করাটাকে কোনো বাধা মনে হয় না। তবে ব্যক্তিগত জীবনে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়।জাগো জবস : স্বাধীনের নামটা বাংলায়, লোগোটা ইংরেজিতে কেন?শ্রেয়া সর্বজয়া : এক্কেবারেই তেমন কিছু না। এই ভিন্নতার দ্বারাও সবাইকে একটা ধারণা দিতে চাই- আমরা বাংলাকে যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনি অন্যের মত-পথ ও ভাষাকে সম্মান জানাতেও পারি। আমি মনে করি না যে, শুধু মুখে লাল-সবুজ আর কয়েকটা দিবসে লাল-সবুজের পোশাক গায়ে জড়ালেই আমরা বেশি করে দেশের স্বাধীনতা এবং কৃষ্টি-কালচারের বাহক হলাম।বরং আমরা বিশ্বের প্রত্যেকটা ভাষা, স্বাধীন চিন্তা-চেতনা এবং সবার অধিকার, সংস্কৃতি ও মনোজগতে পৌঁছে যেতেই বাংলায় নাম হলেও লোগোটা ইংরেজিতে করেছি।জাগো জবস : জনবল নিয়োগে আপনারা কোনো দিকটা বিবেচনা করেন?শ্রেয়া সর্বজয়া : কে কতটা নতুন ও ভিন্নভাবে চিন্তা করতে পারে। সৃজনশীল মানসিকতা, ভাষাজ্ঞানতো অবশ্যই। একই সঙ্গে দিন-দুনিয়ার খোঁজ-খবরসহ জ্ঞানের গভীরতাটাকে বিবেচনায় নেয়া হয় গুরুত্ব সহকারে।জাগো জবস : রেডিওতে নতুনদের কেমন সুযোগ রয়েছে?শ্রেয়া সর্বজয়া : আসলে আমাদের দেশে রেডিওর বয়স কিন্তু বেশি না। আরএফএম রেডিও বিষয়ে কিন্তু তরুণদের আগ্রহই বেশি। তাই লোক নিয়োগে তরুণদেরকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ম্যানেজমেন্ট বা লিডিং পজিশনে যারা থাকেন তারা অবশ্যই অভিজ্ঞ হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে জ্ঞান আর কাজের প্রতি আগ্রহতে যারা এগিয়ে থাকবেন তিনিই পাবেন কাজটি।জাগো জবস : রেডিওতে যারা কাজ করতে চান, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?শ্রেয়া সর্বজয়া : আমি প্রথমেই গুরুত্ব দেব চোখ-কান খোলা রাখাকে। এরপর ভয়েস প্রজেকশন, আইকিউ বাড়ানো আর গানসহ মিডিয়ার খোঁজ-খবর জানাকে। আর শুদ্ধভাবে অন্তত দুইটি ভাষা যেমন মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা এবং আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিটা জানা জরুরি।জাগো জবস : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।শ্রেয়া সর্বজয়া : আপনাকে ধন্যবাদ। জাগো জবসের জন্য শুভকামনা।এসইউ/এমএস

Advertisement