লাইফস্টাইল

মুড সুইং হয় কেন? নিয়ন্ত্রণের ৫ উপায়

কর্মব্যস্ত এই সময়ে সবাই মুড সুইংয়ের সমস্যায় পড়েন। কেউ হয়তো কম, আর কেউ বেশি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনটা খুব ভালো ছিলো, হঠাৎ করেই মন খারাপ! জানা নেই কেন খারাপ হলো মন। আবার হুট করে রেগেও গেলেন। আপনার সঙ্গেও কি এমনটি ঘটে?

Advertisement

এর মানে হলো আপনার ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হয়। যাকে বলা হয় মুড সুইং। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন বা মুড সুইং হয় তাদের মস্তিষ্ক খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এমনকি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বা কোনো পরিকল্পনা করতে পারে তাৎক্ষণিক। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলো, এটা সবার ক্ষেত্রে এক হয় না। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই বারবার মেজাজ পরিবর্তন হওয়ার ফলাফল খুবই বিপজ্জনক।

মনোবিদরা বলছেন, শুরুর দিকেই মুড সুইংয়ের সমস্যার সমাধান না করতে পারলে, তা বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত স্বত্বার মতো জটিল ও গভীর মানসিক রোগে পরিণত হতে পারে।

Advertisement

কী কী কারণে মুড সুইং হয়?

মস্তিষ্কে কয়েকটি নিউরোট্রান্সমিটার থাকে। যা থেকে হরমোন ক্ষরণও হয়। হরমোনের মধ্য়ে সেরোটোনিন ও নরপাইনফ্রাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমটি আমাদের ঘুমের ধরন, নানা রকমের মানসিক স্থিতি ও আবাগের ওঠাপড়ার সঙ্গে জড়িত। আর দ্বিতীয়টির সম্পর্ক স্মৃতি, কোনো কিছু শেখার দক্ষতা ও শারীরিক চাহিদার সঙ্গে। এই হরমোনের তারতম্যের কারণে মুড সুইং হতে পারে।

এ ছাড়াও মানসিক চাপ, অ্যাংজাইটি, অবসাদ বা ডিপ্রেশান, মদ্যপান, ঘুমের অভাব, বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত সত্ত্বা, প্রিমেনস্ট্রুায়ল সিনড্রোম, কাজের চাপসহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে মুড সুইং।

Advertisement

কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?

১. পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। দৈনিক অন্তত৭-৮ ঘণ্টা।২. প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। ৩. সঠিক ডায়েট মেনে চলুন।৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে।৫. পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

মুড সুইংয়ের কারণে অতিরিক্ত রাগ কিংবা নেতিবাচক অনুভূতি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। যদি এ সমস্যা বেশি বাড়ন্ত হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সূত্র: হেলথলাইন

জেএমএস/এএসএম