সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এখন কোনো ব্যাপারই না। ধরুন, আপনার ওয়ালে একটি ছবি বা ভিডিও শেয়ার করেছেন। পরদিনই দেখলেন তা ছড়িয়ে গেছে সব জায়গায়। এরপরই নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে আপনাকে। এমন ভুক্তোভুগীর সংখ্যা এখন হাতে গোনা নয়। এবার তাই ব্যবহারকারীদের হয়রানি বন্ধ করতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নতুন আপডেট আনছে টুইটার।
Advertisement
অনুমতি ছাড়া অন্য ব্যক্তির ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে টুইটার। এ ছাড়াও ব্যবহারকারীর অভিযোগে তার ছবি বা ভিডিও মুছেও দেবে তারা। দায়িত্ব নেওয়ার একদিনের মাথায় নতুন এই নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, টুইটারের নতুন সিইও পদে স্থলাভিষিক্ত পরাগ আগরওয়াল।
কোনো ব্যক্তি যদি মিডিয়া ফাইল আপলোডের পরে অভিযোগ করেন তবে তা গুরুত্ব সহকারে দেখবে টুইটার। এমনকি সেই অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানান, নতুন সিইও।
এক্ষেত্রে অভিযোগকারীকে জানাতে হবে যে তার অনুমতি ছাড়া অন্য ব্যবহারকারী তার ছবি অথবা ভিডিও এই প্লাটফর্মে আপলোড করেছেন। সেক্ষেত্রে টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্থা যখন সত্যতা যাচাই করে জানতে পারবে যে ওই মিডিয়া ফাইল উক্ত ব্যক্তির অনুমতি ব্যতীত টুইটারে আপলোড করা হয়েছে, তখন সেটি ওয়াল থেকে মুছে দেবে টুইটার।
Advertisement
টুইটার আরও জানিয়েছে, এ সবকিছুই করা হচ্ছে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। এতে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা আরও সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। টুইটার একটি ব্লগ পোস্টে উল্লেখ করেছে, “গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার লক্ষে আমরা একাধিক প্রাইভেসি সিস্টেমকে পরিবর্তিত করতে চলেছি, আমরা আমাদের বিদ্যমান ব্যক্তিগত তথ্য নীতি আপডেট করছি এবং ‘প্রাইভেট মিডিয়া’ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এর সুযোগ প্রসারিত করছি।
অন্য ব্যক্তির ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং আইডি প্রকাশ করা এখনো টুইটারে অনুমোদিত নয়। যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার হুমকি দেওয়া বা অন্যদেরকে তা করতে উদ্বুদ্ধ করা,এর সঙ্গে রয়েছে ভুয়ো এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার”।
ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও অন্যের অনুমতি ছাড়া আপলোড করা গোপনীয়তাকে লঙ্ঘন করা। নিরাপত্তা নীতি কে আরও শক্তিশালী করার লক্ষেই নতুন এই আপডেট বলেও জানিয়েছে টুইটার। টুইটার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা একজন ব্যক্তির গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারে, এবং মানসিক বা শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার সমাজেই সকলে স্তরের মানুষকে শারীরিক এবং মানসিক দিক দিক থেকে ক্ষতি করতে পারে, তবে এই প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হতে পারে, নারী, শিশু এবং সমাজের সংখ্যালঘু শ্রেণীর মধ্যে। তার মানে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও আপলোডের আগে সেই ব্যক্তির থেকে সম্মতিসূচক লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
Advertisement
সূত্র: দ্য ভার্জ
কেএসকে/জেআইএম