দড়ি হিসেবে চুলকেও ব্যবহার করা যায়! এটি বোধ হয় এই তরুণীর দড়িখেলা না দেখলে কেউই বিশ্বাস করতেন না।
Advertisement
চুলের বেণী দিয়ে দড়ি লাফ খেলে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ২০২২’ এর তালিকায় মনোনিত হয়েছেন ২৫ বছরের লায়েটিয়া কি।
চুলের বেণী দিয়ে দ্রুত সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক দড়িলাফ খেলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দড়িলাফের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে অনেকেই ভেবেছেন তার নিজের চুলের লম্বা বেণী দিয়েই বোধ হয় তিনি দড়ি বানিয়েছেন! আসলে নিজের চুলের সঙ্গে লম্বা পরচুলা বেণী ভালো করে লাগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আর তা দিয়েই দড়িলাফ খেলেছেন এই তরুণী।
Advertisement
আইভোরি কোস্টের আবিদজানে ১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন লায়েটিয়া। তিনি ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অল্প বয়সেই এই তরুণীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তবে তিনি দমে যাননি।
নিজের প্রতিভা দিয়েই আজ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। স্নাতক শেষ করার পরই তিনি বুঝতে পারেন শিল্প ও নকশার প্রতি তার দুর্বলতা আছে। এরপর তিনি ফ্যাশন ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়েন।
ছোটবেলা থেকেই লায়েটিয়া বিভিন্ন স্টাইলে চুল বাঁধতে ভালোবাসতেন। এরপর এই ভালোলাগাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় এক হেয়ার স্টাইলিস্ট হিসেবে সবার নজর কেড়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে তিনি চুলের শিল্প ও ভাস্কর্যের এই নতুন ফিউশনগুলো সবার সামনে তুলে ধরে খ্যাতি অর্জন করেন। চুলের বাহারি নকশার মাধ্যমে লায়েটিয়া বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে তুলে ধরেন।
Advertisement
এ ধরনের বিস্ময়কর কাজ সম্পন্ন করতে ২০ মিনিট থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে তার। ইনস্টাগ্রামে এই তরুণীর অনুসরণকারীর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ও টিকটকে ২.২ মিলিয়ন।
২০১৭ সালে তিনি প্রথম ‘কি ব্রেইডস’ কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন, যাতে অন্যদেরও চুলের শিল্পকর্ম শেখানো যায়। ২০১৮ সালে তিনি নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘কিস্ট্রয়’ চালু করেন।
চুল শিল্পের মাধ্যমে লায়েটিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবাদ তুলে ধরেন। ২০১৭ সালে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম নিজের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
‘একজন পুরুষ এক নারীর স্কার্ট তুলছেন’ এমনই এক দৃশ্য ফুটিয়ে তোলেন তার বেণীতে। তার সেই বিনুনি শিল্প ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাত বিরোধী আইনের প্রতিবাদে ২০১৯ সালে ফ্যালোপিয়ান টিউবের প্রতিকৃতি তুলে ধরেন নিজের চুলের বেণীতে।
সূত্র: বিবিসি
জেএমএস/জেআইএম