সাহিত্য

সানাউল্লাহ সাগরের তিনটি কবিতা

দৃষ্টির ভাঁজ খুলে দাওআবার তবে এসোমুছে ফেলি নোনা ফেনার দাগহাতের তালুতে ঢেকে দেই অশুভ বাহানার মুখ।গন্ধের শোকসভা শেষেকোন বিউগলে ফেলে তাকে- ফিরে এসেছিকাফন সজ্জার পরম মমতায়!জানা ছিলো তুমিযে তুমিআমার ভেতরের ঘরদোর গুছিয়ে রাখো ঠিক।সেখানে দেখো কী তীব্র অন্ধকার; আমিও আমার চারপাশে...আরেক বারযদি আরেক বার- হাত টেনেমৌসুমী শস্যে ছড়িয়ে দাও বুকের ওম- ঠোঁটের জ্বরভুলে যাবো-রঙ হারানো ডাহুকের বিষণ্ন স্বরকান্নার এপিঠ ওপিঠ।এসেছে বৃষ্টির মুহূর্ত- চারকবেকার ওষুধ তুমি তুলে রেখেছিলে কথিতবিরামের মাঠে; ভাঙা বিকেলের আলগা খামে।নৃত্যের বাতাসা গলে যাচ্ছে ছায়াভেঁপুদের বাড়ি-আমাদের কোন সলাজ বসতি নেই; নিজস্ব উঠোন।দূরত্বের ওম- মৃত্যুর মতো নরম- জড়িয়ে রেখেছেশীতল ভ্রমে। কুয়াশার নিপেলে ঠোঁট রেখে আলোঝিমুতে দেখছেঘরহীন বাবুইয়ের সুলভ পোট্রেট।বরষাও দগ্ধ করে অন্ধকার; রীতিবিরুদ্ধআগুনের আর্তি।আমি শীতবৃষ্টির নখ বরাবরশোক হারানো নিঃসঙ্গ কেদারাভিজে ভিজে অনাগত কান্নাকে ভাসাইকতিপয় অসুখের লোভে...গতির গদ্যযেভাবে টানছো ডুব ভাবছি আলোকিত বেদনায়।কতটুকু দেখলে লেখা যায় সামনের ঢেউততবেলা ঘুমিয়ে এসেখুঁজে নিও সকালের স্পর্শ।নিয়ম করে মুখস্ত নয়শিশিরের কোলে কোলে সবুজ পাবে- প্রত্যন্ত আতর।পিছন পথে মুখ তোমারআমার পিছনে একা একা হাঁটছে!না পড়েই শিখেছি এ জ্যোতি...বারবার কাছাকাছিবিনিময় ভুলে সাঁতারের পালকীআমাদের থাকুক।রোদ মাথায় তিতে ঘ্রাণ ভুলে যাবোযেভাবে টানছোএভাবেই হাসুকগতিময় পথ।এসইউ/এইচআর/এমএস

Advertisement