ধর্ম

আল্লাহর অস্তিত্বের জোরালো প্রমাণ

আল্লাহ তাআলা বিদ্যমান রয়েছেন, তিনি ব্যাপক ক্ষমতাবান এবং তিনিই সৃষ্টিকর্তা পূর্বের আয়াতগুলো তার প্রমাণগুলো উত্থাপন করার পর আল্লাহ তাআলা তাঁর অস্তিত্বের জোরালো প্রমাণ উত্থাপনে প্রশ্ন রেখে বলেন-তোমরা কেমন করে আল্লাহকে অস্বীকার করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৮)    আয়াতের মর্মার্থ হচ্ছে- মানুষ তার সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিবিষ্ট মনে চিন্তা করলে বুঝতে পারবে যে, তার সৃষ্টির সূচনা নিস্প্রাণ অনুকণাসমূহ থেকেই হয়েছে। যা আংশিকভাবে জড় বস্তুর আকৃতিতে, আংশিকভাবে প্রবাহমান বস্তুর আকৃতিতে এবং আংশিকভাবে খাদ্যের আকৃতিতে সারা বিশ্বে জুড়িয়ে আছে। মহান আল্লাহ তাআলা বিক্ষিপ্ত নিষ্প্রাণ অনুকণাসমূহকে বিভিন্ন স্থান থেকে একত্র করেছেন। অবশেষে সেগুলোতে প্রাণ সঞ্চার করে জীবন্ত মানুষে রূপান্তরিত করেছেন। এ হলো মানব সৃষ্টির সূচনালগ্নের কথা।অতপর মানুষের নির্ধারিত আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেলে তাদের জীবনশিখা নিভিয়ে দেয়া হবে এবং নিধারিত সময়ের পর কিয়ামাতের দিন দেহের নিষ্প্রাণ বিক্ষিপ্ত কণাগুলোকে একত্রিত করে পুনরুজ্জীবিত করা হবে।হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কাফিররা বলবে, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে দু’বার মেরেছেন এবং দুবার জীবিত করেছেন, আমরা আমাদের পাপসমূহ স্বীকার করছি। এ কথার ভাবার্থ এবং আয়াতের ভাবার্থ এক। মানুষ প্রথমে তার পিতার পৃষ্ঠে মৃত ছিল। তিনি পিতা-মাতার মাধ্যমে জীবিত করেছেন। আবার তোমাদেরকে মারবেন। আবার তিনি মানুষকে কবর থেকে উঠাবেন। এভাবেই মানুষের মৃত্যু দুই বার এবং জীবনও দুইবার।সুতরাং যিনি মানুষকে একাধিকবার জীবন এবং মৃত্যু দিতে পারে তিনিই হচ্ছেন মানুষের সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ তাআলা সমগ্র উম্মাতে মুসলিমাকে তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement