নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এবং দ্বিতীয় স্তম্ভ। ঈমানের পরেই যার স্থান। নামাজে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রতিটি মুমিনের একান্ত কর্তব্য। যে সকল কারণে নামাজ বাতিল হয়ে যায় বা ভঙ্গ হয় তা জানা আবশ্যক। নামাজ ভঙ্গের কারণগুলো তুলে ধরা হলো-১. নামাজে কথা বলা যাবে না। কথা অল্প-বেশি যাই হোক। যেমন- সালাম আদান-প্রদান, হাঁচির উত্তর দেয়াসহ যে কোনো কথা।২. ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নামাজের কোনো একটি ফরজ ছুটে গেলে।৩. বিনা প্রয়োজনে গলা খাকড়ানো বা পরিষ্কার করা।৪. দুঃখ-কষ্ট বা বেদনারকারণে নামাজের মধ্যে উহ্ বা আহ্ ইত্যাদি আওয়াজ করা। এমনকি আল্লাহর ভয়ে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করলেও।৫. ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বা ভুলবশত নামাজে পানাহার করলে। অবশ্য দাঁতের ফাঁকে আটকানো ছোলা থেকে কম বেরুলে তা খেলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।৬. নামাজ পড়াকালীন এমন কাজ করা যা বাইরে থেকে দেখে এমন মনে করা যে, লোকটি নামাজ পড়ছে কিনা। যেমন দু`হাত দিয়ে কাপড় ঠিক করা, মহিলারা চুলে ঝুটি বাঁধা বা নামাজ অবস্থায় বাচ্চাকে দুধ পান করানো বা নামাজে হাটা-চলা করা।৭. নামাজে কুরআন তিলাওয়াতে এমন ভুল পড়া যাতে অর্থ পাল্টে যায়।৮. বয়স্ক ব্যক্তির নামাজে অট্টহাসি হাসা।৯. নামাজের মধ্যে কুরআন মাজিদ দেখে দেখে পড়া বা অন্য কোনো লেখা পড়লেও নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।১০. মুক্তাদি ব্যতিত অপর ব্যক্তির ইমামের লোকমা দেয়া।১১. অপবিত্র জায়গায় সেজদা দেয়া।১২. ক্বিবলামুখী না হয়ে নামাজ পড়া।১৩. নামাজে এমন কিছু প্রার্থনা করা, যা মানুষের কাছে চাওয়া যায়।১৪. ইমামের আগে আগে মুক্তাদির নামাজের কার্যক্রম সম্পন্ন করা।আল্লাহ তাআলা উক্ত বিষয়গুলো যথাযথ হিফাজতের সহিত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement