কৃষি ও প্রকৃতি

সৌদি খেজুর চাষে রুবেল এখন লাখোপতি

সৌদি খেজুর চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওবায়দুল ইসলাম রুবেল নামে এক যুবক। তিনি নাচোল উপজেলার ভেরেন্ডি এলাকার বাসিন্দা। সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুরের বাগান করে সফলতা পান এ চাষি।

Advertisement

এখন তার বাগানে আছে হলুদ ও গাঢ় লাল রঙের অনেক খেজুর। স্বাদে ও দেখতে সৌদি খেজুরের মতো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। এতে কর্ম সংস্থান হয়েছে অনেক বেকার যুকবের।

শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রুবেলের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সুবাস ছড়াচ্ছে লাল, হদুল রঙের খেজুর। থোকায় থোকায় দুলছে সুককারি, বারোহি, আম্বার, বারি, মিগটুল, নাখাল, খালাসসহ বিভিন্ন জাতের খেজুর। কৃষি বিভাগ বলছে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের মতোই তাই এ খেজুরের ভালো ফলন হচ্ছে।

ওবায়দুল ইসলাম রুবেল জাগো নিউজকে জানান, ২০১৭ সালে সৌদি আরব থেকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বীজ এনে বাড়ির পাশে ১ একর জমিতে খেজুরের বাগান গড়েছি। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করছি। আর এখন খেজুর বিক্রি করছি প্রতিকেজি ১০০০-১২০০ টাকা হদুলটা ও ২৫০০-৩০০০ টাকা লালটা।

Advertisement

রুবেল আরও জানান, এ বছর প্রায় পাঁচ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছি। আর এখন গাছে অনেক খেজুর আছে। গত বছর প্রায় ১৬ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছিলাম। এখন দিন দিন গাছ বড় হবে ফল আসার পরিমাণও বাড়বে।

গত বছর এ গাছগুলোতে খেজুর ধরেছিল গড়ে প্রায় ৭০ কেজি এবার ধরেছে ১০০ কেজির উপরে। আমার বাগান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেজুর গাছের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

নাসীম নামে খেজুর বাগানের এক কর্মী জানান, আমি বেকার ঘুড়ে বেড়াচ্ছিলাম এখন রুবেলের খেজুর বাগানের পরিচর্যা করি। মাসে আমাকে দশ হাজার টাকা দেয়া হয় এ দিয়েই চলে আমার সংসার। কাজ তেমন ভারি না হওয়ার ভালোলাগে এ কাজ করতে।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, নাচোলের খেজুর এখন সারা দেশে সরবারহ হচ্ছে। আমরা এ বাগানগুলো পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করছি।

Advertisement

যেহেতু জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের মতোই। তাই আমাদের আশা এই অঞ্চলে খেজুর চাষ সম্ভব ও রুবেল চাষ করে ভালোই সাড়া ফেলেছেন। তিনি আরও জানান, আমের দাম কম হওয়ার জেলায় অনেক মানুষ খেজুর চাষে ঝুঁকছেন।

সোহান মাহমুদ/এমএমএফ/জেআইএম