আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামের এক ফেসবুক পেজে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহযোগী অধ্যাপক শফিউল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করা হয়েছে। ইসলামবিরোধী কাজের জন্য তিনি উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়।ক্লাসে মেয়েদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ ও দাঁড়ি-টুপিধারী ব্যক্তিদের বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে না এমন মন্তব্যকে ইসলামবিরোধী বলে দাবি করা হয় ওই পেজে। আর এ কাজের জন্য মৃত্যুই তার উপযুক্ত শাস্তি বলে উল্লেখ করা হয়।শফিউলকে মুরদাত অভিহিত করে তার হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের ‘মুজাহিদিন’ উপাধি দেওয়া হয়। তবে কারা এ পেজ খুলেছে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। এর আগেও এ নামে কোনো পেজ ছিল না কি না তাও নিশ্চিত নয়। তাই এ দাবি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। নিরাপত্তা বাহিনীও এখনই এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না। প্রাথমিক তদন্ত করার পর বিষয়টি আলোচনায় আনা হবে বলেও জানায় নিরাপত্তা সূত্র। ফেসবুক পেজে বলা হয়,‘ আমাদের মুজাহিদিনরা আজকে রাজশাহীতে এক মুরতাদকে কতল করেছেন যে তার ডিপার্টমেন্টে ও ক্লাসে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছিল। আল্লাহর ইচ্ছায়, আল্লাহর শক্তিতে ও আল্লাহর অনুমতিতে মুজাহিদিনরা আজকে এই মুরতাদকে কতল করেছেন। তাই ইসলামবিরোধী সকল নাস্তিক-মুরতাদ সাবধান !!!’একটি দৈনিক পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে দাড়ি কাঁটা ও পাঞ্জাবি-পায়জামা না পরার শর্তের শিক্ষক নিয়োগের পর ছাত্রীদের বোরকা পরে ক্লাস না করার নির্দেশ দিয়েছিল বিভাগীয় সভাপতি ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম। এই মুরতাদ আজ তার যথাযথ প্রতিদান পেয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ফেসবুক পেজে নিহত ব্লগার রাজীব ও আশরাফুল ইসলামের পর শফিউলের লাল ক্রস চিহ্ন যুক্ত ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
Advertisement