খাসির কলিজা খেতে সবাই কমবেশি পছন্দ করেন। কলিজায় আছে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে আছে ভিটামিন এ ও প্রচুর আমিষ। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
কলিজায় আরও আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন বি ৬। এ ছাড়াও কলিজায় থাকা কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামের উপকরণ শিরা উপশিরার দেয়ালকে প্রসারিত করে। ফলে রক্ত প্রবাহ সহজ হয়।
অনেকেই বিভিন্ন উপায়ে কলিজা রান্না করে থাকেন। তবে কখনো কি পোস্ত বাটা দিয়ে রেঁধে খেয়েছেন! খুবই সুস্বাদু এই পদটি চাইলেই তৈরি করে নিতে পারেন রেসিপি অনুযায়ী-
উপকরণ
Advertisement
১. কলিজা আধা কেজি২. পোস্তবাটা ১ চা চামচ৩. পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ৪. পেঁয়াজ কুচি ১টি৫. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ৬. রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ৭. জিরা বাটা ১ চা চামচ৮. হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ৯. মরিচ গুঁড়ো দেড় চা চামচ
১০. ধনেগুঁড়া আধা চা চামচ১১. জায়ফল-জয়ত্রী বাটা ১/৩ চা-চামচ১২. গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ১৩. আস্ত এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ সব ২-৩টি করে১৪. লবণ স্বাদ মতো১৫. তেল ১ কাপ
পদ্ধতি
কলিজা গরম পানিতে ২-৩ মিনিট রেখে বা জ্বাল দিয়ে পানি ফেলে দিন। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে তুলে রাখুন। পেঁয়াজ কুচি বেরেস্তা করে তুলে রাখুন।
Advertisement
এবার কড়াইতে তেল গরম করে নিন। আস্ত গরম মসলা দিয়ে ১ মিনিট নাড়ুন। পেঁয়াজ দিয়ে নরম করে ভেজে নিন।
এবার আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। পোস্ত বাদে অল্প গরম পানি ও বাকি সব মসলা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন।
এরপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে কলিজা নেড়ে ঢেকে দিন। কলিজা সেদ্ধ হলে পোস্ত দিয়ে আবার নেড়ে ঢেকে দিন।
চাইলে কাঁচা মরিচ দিতে পারেন। ঝোল শুকিয়ে ঘন হয়ে এলে, উপর দিয়ে বেরেস্তা ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন পোস্ত বাটায় মজাদার খাসির কলিজা কারি।
জেএমএস/জেআইএম