সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইমোজি ব্যবহারে আমরা বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করি। অন্যদিকে কথা না বলেও মানুষকে বিভিন্ন বিষয় বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে ইমোজি।
Advertisement
অনেকেই মেসেজে কথা বলার সময় বেশি টাইপ করতে চান না। তাদের জন্য ইমোজির ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে ইমোজি বেশ জনপ্রিয়।
ইমোজি সাধারণত ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারসহ বেশকিছু সোশ্যাল মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি বছর নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম।
তার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। অনুমোদনের জন্য আসা ইমোজিগুলোতে ভোট প্রক্রিয়া চলে।
Advertisement
সেই সদস্যদের মধ্যে থাকে নেটফ্লিক্স, অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল, টিন্ডারসহ আরও অনেক সংস্থার কর্মকর্তারা। অনুমোদন পাওয়া গেলে ইমোজিগুলো বাজারে ছাড়া হয়। এরপর সেগুলো অ্যাড্রয়েড এবং আইফোনে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলো তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য প্রেরণ করে। একে বলা হয়, ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে ভোট।
১৯৯৯ সালে জাপানের একটি মোবাইল অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত শিগাকাট কুরিতা নামের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ইমোজি তৈরি করেছিলেন। ওই সময় মোট ১৭৬টি ইমোজি তৈরি হয়েছিল, যা মোবাইল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস আই মোডের মুক্তির কথা ভাবা হয়েছিল।
এরপর ২০১০ সালে ইউনিকোড ইমোজি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গুগল, মাইক্রোসফট এবং টুইটার সেই পথ অনুসরণ করে।
সম্প্রতি ইউনিকোড ৬.০ ভার্সনের মোট ৯৯৪টি চরিত্রের ইমোজি তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে পরিবার, হৃদয়, প্রাণী, দেশ, পতাকা, জামা-কাপড়, ঘড়ি, খাবার এবং শহরের প্রতীক কার্যকর রয়েছে।
Advertisement
গত বছর ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম থেকে মোট ১১০টি ইমোজি প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কান্নার সঙ্গে হাসিযুক্ত মুখ, ট্রান্সজেন্ডার ফ্ল্যাগ, বাবল টি ও সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর ইমোজি।
এমএমএফ/এএসএম