বর্ষায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পা। বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ বেশি হয়। এ কারণে বর্ষায় খুব সাবধানে থাকা উচিত। চুল, ত্বক এবং শরীরের যত্নের পাশাপাশি এ সময় পায়ের যত্নও নিতে হবে। কারণ বর্ষায় পায়ের চুলকানি, ঘা বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। জেনে নিন বর্ষায় কীভাবে পায়ের সঠিক যত্ন নিতে হবে-
Advertisement
সঠিক জুতা পরুন: বর্ষায় বাইরে বের হলেই কাদা-পানিতে পা নোংরা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে বর্ষায় ফ্যাশনেবল চটি বা স্যান্ডেলের দিকে নজর রাখতে হবে। বর্ষার পানি যাতে না লেগে থাকে পায়ে, এমন জুতো পরুন।
চাইলে রং-বেরংয়ের ফ্লোটারস পরতে পারেন। যদি স্নিকারস পরেন তাহলে এমন মেটেরিয়ালের পরুন যা, ভিজে না থাকে। প্রয়োজনে একজোড়া স্যান্ডেল ব্যাগে রেখে দিতে পারেন।
ফুট বাথ নিন: প্রতিদিন বোইরে থেকে ঘরে ফিরে হালকা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন কিছুক্ষণ। অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড মিশিয়ে নিতে ভুলবেন না। যদি অ্যান্টিসেপ্টিক না থাকে; তাহলে সামান্য বাথসল্ট মিশিয়ে ঊষ্ণ পানিতে পা ধুয়ে নিন। এতে পায়ে থাকপা জীবাণু সহজেই দূর হবে।
Advertisement
এক্সফোলিয়েট করুন: সম্ভব হলে একদিন পরপর পা এক্সফোলিয়েট করুন। যদি সময় বের না করতে পারেন; তাহলে সপ্তাহে অন্তত একদিন এক্সফোলিয়েট করুন। গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে বসুন। এরপর পিউমিস স্টোন দিয়ে ভালো করে গোড়ালি ঘষে চামড়া তুলে নিন।
অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার রাখুন: বর্ষাকালে অনেকসময়েই পা ভিজে থাকায় আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়ে। এ ছাড়াও চুলকানি বা ঘা দেখা দেয়। পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকেই এসব বেশি হয়।
এমন সমস্যা দেখা দিলে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন। প্রতিদিন কয়েকবার করে পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ওই পাউডার লাগিয়ে নিন। এতে ইনফেকশন বেশি ছড়াতে পারবে না এবং চুলকানিও কমবে।
ক্ষতস্থান ঢেকে রাখুন: যদি কোথাও কেটে-ছিড়ে যায়; তাহলে সেই ক্ষতস্থান যেন খোলা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ বেশি হয়।
Advertisement
বৃষ্টির জমা পানির সঙ্গে নোংরা পানি মিশে যায়। ফলে যদি ক্ষতস্থান খুলে রাখেন, তাহলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজনে ওয়াটারপ্রুফ ব্যান্ডেড ব্যবহার করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস