প্রতি বছর ৩১ মে ‘ওয়ার্ল্ড নো টোবেকা ডে’ বা তামকমুক্ত দিবস পালিত হয়। প্রতি বছর ৩১ মে সারা বিশ্বে এ দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘কমিট টু কুইট’।
Advertisement
বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে ‘আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে।
‘কমিট টু কুইট’ নামক তামাকবিরোধী প্রচারাভিযানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছেন, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ধূমপায়ীদের করোনায় মৃত্যুর ৫০ শতাংশ ঝুঁকি বেড়ে যায়।
শুধু কোভিড থেকে সুরক্ষা নয়; ধূমপান ছাড়লে ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
Advertisement
গবেষণা অনুযায়ী, তামাকের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। যার মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই এক লাখ ২৬ হাজার।
চিকিত্সকদের মতে, ধূমপান ত্যাগের পরপরই শরীর সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করে। বিশ্ব স্বস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ধূমপান বন্ধ করার পরপরই শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়।
ধূমপান ত্যাগ করা স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় উপকার আনতে পারে। ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে জেনে নিন-
>> ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক সীমায় ফিরে আসে।
Advertisement
>> ধূমপান ছাড়ার ১২ ঘণ্টা পর কার্বন মনোক্সাইডের (একটি বিষাক্ত গ্যাস) মাত্রা কমতে শুরু করে।
>> ২-১২ সপ্তাহ পরে রক্ত সঞ্চালন এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়তে শুরু করে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে, হার্ট এবং ফুসফুস সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পেতে শুরু করে।
>> ধূমপান ছাড়ার ১-৯ মাস পরে, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের পরিমাণ অনেক কমে যায়।
>> টানা একবছর ধূমপান থেকে বিরত থাকলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেকের নিচে নেমে যায়।
>> ধূমপান ছাড়ার পাঁচ বছর পরে স্ট্রোকের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।
>> ধূমপান ত্যাগ করার ১০ বছর পরে, মুখ, গলা, খাদ্যনালী, ফুসফুস, মূত্রাশয়, জরায়ু এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক হয়ে যায়।
>> ধূমপান বন্ধ করার প্রায় ১৫ বছর পর করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।
সূত্র: ফার্স্ট পোস্ট
জেএমএস/জেআইএম