লাইফস্টাইল

ইফতারে যেসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত

সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে খাওয়া উচিত পুষ্টিকর খাবার। তবে অনেকেরই হয়তো ধারণঅ নেই সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত!

Advertisement

রোজা ভাঙতেই ইফতারে খেতে হবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এ সময় যদি সঠিক খাবার না খাওয়া হয়; তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। এমনকি অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই সাবধান হওয়াটা জরুরি। জেনে নিন ইফতারে কোন খাবারগুলো খাবেন-

মৌসুমী ফল: সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে রোজার সময় স্বাভাবিকভাবেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেয়। তখন শরীর বিশেষ কিছু পেশিকে ভেঙে সেই এনার্জির চাহিদা পূরণ করে। তাই ফল খেয়ে রোজা ভাঙার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এক্ষেত্রে তরমুজ, বাঙ্গি, আঙুর অথবা আপেলের মতো ফল খেতে হবে। কারণ এসব ফলে থাকা পানি এবং পুষ্টি উপাদান ঘাটতি দূর করে। ফলে দেহের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।

Advertisement

আরও উপকার পেতে ইফতারে এক গ্লাস ফলের রস খান। মনে রাখবেন উপোস ভেঙেই লেবুর মতো সাইট্রাস জাতীয় ফল খাবেন না। কারণ এসব ফল অ্যাসিডিক। খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

বাদাম

হাতের কাছে ফল-মূল না থাকলে কয়েকটি কাঠবাদাম খেয়েও রোজা ভাঙতে পারেন। এতে উপস্থিত উপকারী ফ্যাট, শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আবার খিদেও মেটায়। এমনকি ক্লান্তিও দূর হয়। এ কারণেই ইফতারের সময় কাঁচা বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সবজি

Advertisement

পালং, লেটুস অথবা বিটের রস খেয়েও রোজা ভাঙতে পারেন। এ ছাড়াও সবজি সেদ্ধ করে খেলেও কিন্তু বেশ উপকার মেলে। কারণ সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। যা নিমেষে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।

এমনকি শরীরের গঠনেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। অন্যদিকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে বিষমুক্ত করে। ফলে ভিতর এবং বাইরে যেতে শরীরে বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ক্লান্তিও দূর হয়। সবজির পাশাপাশি সালাদও খেতে পারেন।

ডাবের পানি

এতে আছে ইলেকট্রোলাইটস। আরও আছে অনেক খনিজ এবং ভিটামিন উপাদান। যা নিমেষেই শরীরের ক্লান্তি দূর করে। এ ছাড়াও শরীরের পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি মেটায় এবং দেহের পানির চাহিদা পূরণ করে। ইফতারে ডাবের পানি করলে শরীর দূর্বল হওয়ার সম্বাবনা থাকবে না।

খেজুরের স্মুদি

খেজুরে থাকে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল। আর দুধেও থাকে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ। এ কারণে খেজুরের স্মুদি ইফতারের খাওয়া মাত্রই সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে সহজেই।

এক গ্লাস দুধ এবং ৪-৫টি খেজুর ব্লেন্ড করেই সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন পুষ্টিকর এ পানীয়টি। ইফতারে ঠান্ডা ঠান্ডা খেজুরের স্মুদি বেশ প্রশান্তি দেবে।

সূত্র: হেলথলাইন

জেএমএস/জিকেএস