ভ্রমণ

যে শহরের বাসিন্দারা এখনো গুহায় বাস করে

শহরের মানুষ কি-না বাস করে গুহায়! অতীতে বাসস্থানের অভাবে মানুষ গুহায় বসবাস করত, তা সবারই জানা। তবে আধুনিক এ সময়ে এখন গুহায় থাকার কথা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।

Advertisement

সেখানে কি-না একটি শহর গড়ে উঠেছে, যেখানে সবাই বাস করে গুহায়। ২০০৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাতমাতার জনসংখা প্রায় ৩ হাজার।

১৯৬০-১৯৭০ সালের মধ্যে তীব্র বন্যার কারণেই শহরের বেশিরভাগ মানুষই তাদের আবাসস্থল হারিয়ে ফেলেন। এরপরই তারা ভূ-গর্ভে থাকার গুহা তৈরির মাধ্যমে বসবাস শুরু করে।

তিউনিসিয়ার মাতমাতা মূলত মরুভূমি এলাকা। সেখানকার জনবসতিগুলো তীব্র উত্তাপ এবং প্রবল মরু বায়ু এড়াতে ভূগ-গর্ভস্থ বাড়িতে বসবাস করে। এ ঘরগুলো প্রায় ৭ মিটার (২৩ ফুট) গভীর এবং ১০ মিটার (৩৩ ফুট) প্রশস্ত।

Advertisement

মরুভূমি এলাকা হওয়ায় হাতের সরঞ্জাম দিয়েই খনন করা হয় গুহার ঘরগুলো। বহু শতাব্দী ধরেই সেখানকার গুহায় জনবসতি গড়ে উঠেছে।

এ বাড়িগুলো একটি কেন্দ্রীয় উঠোনের চারপাশে সারিবদ্ধভাবে তৈরি করা হয়। অন্যান্য বাড়ির আঙ্গিনাগুলোও সংযুক্ত। গুহায় ঢুকলে ভূ-গর্ভস্থ ঘরগুলো গোলকধাঁধায় পরিণত হয়।

অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুহার ঘর, সিঁড়ি তৈরি করা হয়। গুহার উঠোন বা আঙিনার মাধ্যমেই পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পায় বাসিন্দারা। গুহার এ ঘরগুলো দেখে সব পর্যটকরাই মুগ্ধ হয়।

বিশেষ করে মাতমাতার খ্যাতির আরও একটি কারণ হলো ‘স্টার ওয়ার্স’ সিনেমায় এখানকার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। লুক স্কাইওয়াকারের বাড়িটি আসলে সিডি ড্রিস নামক একটি আন্ডারগ্রাউন্ড হোটেল।

Advertisement

মাতমাতার এ ভূ-গর্ভস্থ বাড়িগুলোতে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা আছে। এ বাড়িগুলো অনেক সুন্দর করে সাজানো-গোছানো থাকে। সবাই তাদের উঠোনে বাগান করে।

সেখানে নানা রঙের ফুল ও গাছ-পালা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এই গুহাগুলোর নির্মাণ বৈচিত্রতা পর্যটকদের একটি প্রধান আকর্ষণ।

সূত্র: আমিউজিং প্লানেট/আটলাস অবসকিওর

জেএমএস/এএসএম