সাইনাসের যন্ত্রণায় অনেকই কাবু হয়ে যান। ঠান্ডা সহ্য করা যেন অসম্ভব হয়ে পড়ে সাইনাস রোগীদের ক্ষেত্রে। নাক, চোখ ও মাথা ব্যথার দরুন সাইনাস রোগীদের বেশ কষ্ট পেতে হয়।
Advertisement
সাইনাস দুই প্রকারের- তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী। দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিসের জন্য অ্যান্টি-বায়োটিকের প্রয়োজন হয়। তবে তীব্র সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায় মানলে মুহূর্তেই এ ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সাইনাস সংক্রমণ ডাস্ট অ্যালার্জি, কেমিক্যাল বা ধোঁয়ার কারণে হতে পারে। সাইনাস সংক্রমণ হলে মাথা ব্যথা, মুখের কোমলতা, সাইনাসে ব্যথা, কান, দাঁত, জ্বর, ফোলাভাব, গলা ব্যথা, অনুনাসিক পরিচ্ছন্নতা এবং কাশি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে সাইনাসের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। যেমন- ঠান্ডা পানীয় বা ঠান্ডা খাবার, তৈলাক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার ইত্যাদি খেলে সাইনাসের সমস্যা বাড়তে পারে।
Advertisement
তবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ গ্রহণ সাইনাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যার মাধ্যমে আপনি তাৎক্ষণিক সাইনাসের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। জেনে নিন সেগুলো-
>> শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখলে আপনি পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পাবেন। সেইসঙ্গে সাইনাসের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও বেশি পরিমাণে তরল খাবার বা পানীয় পান করা জরুরি। তরল খাবার শ্লেষ্মা পাতলা করে।
>> সাইনাস হলে নাক, চোখ ও মাথা প্রচণ্ড ব্যথা করে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ চোখ জ্বালা-পোড়া করে। এ সময় গরম ভাঁপ নিলে প্রশান্তি আসবে, ব্যথা কমবে। পানি গরম করার সময় পুদিনা পাতা মেশালে আরও ভালো হবে। পুদিনার পানি থেকে বাষ্প গ্রহণ করলে সাইনাসজনিত ব্যথা এবং জ্বালা থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত।
>> ঠান্ডা লাগলে কিংবা মাথা ব্যথা করলে এক বাটি গরম স্যুপ খেলে মিলবে প্রশান্তি। আপনার পছন্দ অনুসারে যেকোনো স্যুপ খেতে পারেন।
Advertisement
>> ভাঁপ নেওয়ার সাহায্যে নাক পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সহজেই দূর হবে নাক থেকে।
>> আপেল সিডার ভিনেগারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এর মাধ্যমে সাইনাসের ব্যথা থেকেও মুক্তি মেলে। এজন্য কিছুটা গরম পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া/জেএমএস/জেআইএম