কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস আল্লামা শামসুল ইসলাম বার্ধক্যজনিত কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার দুপুর ২টা ০৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
Advertisement
কিশোরগঞ্জে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বর্ষীয়ান এ আলেমে দ্বীন প্রায় ১৯ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে ইসলামি অঙ্গনসহ ছাত্র-শিক্ষক, মুসল্লি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
১৯৮৩ সাল থেকে আল্লামা শামসুল ইসলাম ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার শায়খুল হাদিস হিসেবে ইলমে হাদিসের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ঐতিহাসিক শহীদী জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব ছিলেন।
তিনি একজন বিচক্ষণ ও বর্ষীয়ান আলেম ছিলেন। প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী। জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ছাড়াও তিনি দেশব্যাপী ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। পুরো দেশেই তার অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক ও ভক্ত-অনুরাগী ছড়িয়ে আছে।
Advertisement
১৯৮৬ সাল থেকে ঐতিহাসিক শহীদী জামে মসজিদে প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় কুরআনুল কারিমের তাফসির করে আসছেন। দীর্ঘ এ সময়ে তিনি সুরা ফাতেহা থেকে শুরু সুরা আল-ইকরা পর্যন্ত তাফসির সম্পন্ন করেছেন। তার তাফসির শুনে অনেক নারী-পুরুষ দ্বীনের সঠিক শিক্ষা লাভ করেছেন।
এছাড়া তিনি তাফসিরে শাস্ত্রেও অসামান্য দক্ষতা থাকায় ১৯৮৬ থেকে ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় কুরআনে পাকের তাফসির করে আসছিলেন। সুর ফাতেহা থেকে শুরু করে বর্তমানে তিনি সুরা ইকরা পর্যন্ত তাফসির সম্পন্ন করেছেন।
কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে শ্রদ্ধা ও সম্মানের মানুষ ছিলেন তিনি। তাকে কিশোরগঞ্জের মানুষ তাদের মধ্যমণি হিসেবে দেখতেন এবং সম্মান করতেন।
আল্লাহ তাআলা কুরআন-হাদিসের এ খাদেমকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জিকেএস