সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের আনুমানিক ৩০০ বছরের পুরোনো বটবৃক্ষ আর ব্রিটিশ আমলের কাছারি বাড়ির স্মৃতিকে ঘিরে নির্মিত হচ্ছে ভূমি জাদুঘর।
Advertisement
স্থানীয় প্রবীণদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জানুয়ারি কাছারি বাড়ির বটবৃক্ষসহ স্থানটি পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
স্থানটি পরিদর্শন করে ‘কাছারি জাদুঘর ও পার্ক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করে স্মৃতি ফলকের উদ্বোধন করেন তিনি। পুরোনো স্মৃতি ধরে রাখতেই হেরিটেজ পার্ক হিসেবে প্রাচীন বাড়ি ও বটবৃক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
এ সময় কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা, জেলা প্রশাসন ও কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
বুইতা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছহেলদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘বট গাছটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো। ব্রিটিশ আমলে এখানে কাছারি বাড়ি ছিল। সমগ্র কলারোয়াসহ তালা উপজেলার ধানদিয়া অঞ্চলের ভূমির খাজনা আদায় করা হতো। এখন আর কাছারি বাড়ি নেই।’
এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কাছারি বাড়ির কথা বাপ-দাদাদের মুখে শুনেছি। এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এখানে পার্ক নির্মিত হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য গৌরবের।’
আব্দুস সামাদ রনি জানান, ‘ঐতিহ্যবাহী স্থানটিকে নতুন রূপ দেওয়ায় দেশবাসী কাছারি বাড়ি সম্পর্কে নতুন করে জানতে পারবে। বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা ধারণা নিতে পারবে ইতিহাস-ঐতিহ্যের। তাছাড়া এখানে জাদুঘর ও পার্ক নির্মিত হলে এ অঞ্চলের সুনাম বৃদ্ধি পাবে।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ‘এ প্রাচীন বটবৃক্ষ সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি একটি ভূমি জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। স্থানটিতে একটি হেরিটেজ পার্ক গড়ে তোলার ইচ্ছাও রয়েছে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সময় পেলে আপনারা প্রাচীন বটবৃক্ষটি দেখতে যাবেন। যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতসহ অচিরেই এখানে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য কিছু নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি করা হবে।’
জেএমএস/এসইউ/এএসএম