সবাই পাখির মতো উড়তে চান। এজন্য আফসোস করে অনেকেই বলে থাকেন, পাখির মতো যদি দুটি ডানা থাকত, তাহলে উড়তে পারতাম! এ শখ পূরণ করতেই এখন অনেকেই ঝুঁকছেন বাঞ্জি জাম্পিংয়ের নেশায়। উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়ার মজা অনুভব করতে এখন অনেকেই বাঞ্জি জাম্পিংয়ের সুযোগ খোঁজেন।
Advertisement
শারীরিক যদি কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই বাঞ্জি জাম্পিংয়ের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। যদিও বাংলাদেশে তেমন সুযোগ নেই বাঞ্জি জাম্পিংয়ের। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্রে রয়েছে এ সুযোগ।
পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো হয়ে পাহাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আনন্দ উপভোগ করতে চাইলে অবশই বাঞ্জি জাম্পিং করা উচিত। উঁচু থেকে উল্টো হয়ে পড়ার সময় শরীরে যে শিহরণ জাগবে; তার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অবশ্য সবই হবে নির্দিষ্ট সুরক্ষা মেনে।
বিদেশে এ বাঞ্জি জাম্পিং ট্যুরিজমের অনেক সুযোগ আছে। বর্তমানে ভারতেও বাঞ্জি জাম্পিং পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ। বিগত কয়েক বছর ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেক। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ভারত ভ্রমণে গেলে বাঞ্জি জাম্পিং করবেন কোথায়-
Advertisement
>> ভারতের সবচেয়ে উচ্চতম বাঞ্জি জাম্পিং হয় হিমালয়ের কোলে হৃষিকেশে। স্থানটির নাম দেওয়া হয়ছে ‘জাম্পিং হাইটস’। মাটি থেকে প্রায় ৮৩ মিটার উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয় নিচে। সেখানে কিন্তু আপনার নিরাপত্তার যাবতীয় খেয়াল রাখা হয়। একেকবার ঝাঁপ দেওয়ার জন্য খরচ পড়বে সাড়ে ৩ হাজার টাকারও বেশি।
>> দিল্লিতে আছে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের সুযোগ। দিল্লির ওয়ান্ডালাস্ট সংস্থা এ জাম্পিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছে। সেখানকার প্রশিক্ষকরা জার্মান থেকে প্রশিক্ষণপাপ্ত। তাই উন্নত জার্মান প্রযুক্তি এখানকার বাঞ্জি জাম্পিংয়ে ব্যবহার করা হয়। ৪০ মিটার উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আগ্রহীরা আনন্দ পান।
>> ভারতের সবচেয়ে সুরক্ষিত বাঞ্জি জাম্পিং হয় মহারাষ্ট্রের দার্জিলিংয়ের লোনাভালাতে। ৪৫ মিটার উচ্চতা থেকে লাফ দেওয়ার ৪-৫ মিনিট পর্যন্ত উল্টো হয়ে থাকার অনুমতি মেলে এখানে। বয়স ১০ বছরের বেশি হলেই ঝাঁপ দেওয়া যায়। প্রতিবার ঝাঁপ দেওয়ার জন্য সেখানে দেড় হাজার টাকা খরচ পড়ে।
>> গোয়ার বিখ্যাত আনজুনা বিটের কাছেই রয়েছে বাঞ্জি জাম্পিং ক্যাম্প। সেখানকার উচ্চতা ২৫ মিটার। মাত্র ৫০০ টাকায় সেখানে উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।
Advertisement
>> যদিও বেঙ্গালুরুতে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই; তবে সেখানে ঝাঁপ দিতে গেলে ক্রেনই ভরসা। বেঙ্গালুরুর ওজোন অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই প্রায় ৮০ মিটার উঁচু ক্রেনের উপর থেকে লাফানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়। ১৮-৬০ বছর বয়সীরা শুধু এ বাঞ্জি জাম্পিংয়ের অনুমতি পান।
জেএমএস/এসইউ/এএসএম/এমএস