পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) বা পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ (পিসিওডি) সমস্যায় অনেক নারীই ভুগে থাকেন। হরমোনাল সমস্যার কারণে এটি ঘটে। ফলে নারীদের অনিয়মিত মাসিক হয়। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোম, মুখে ব্রণ, ওজন বেড়ে যাওয়া ও মেজাজ খিটখিটে হয়।
Advertisement
পিসিওডির ক্ষেত্রে দুটি ওভারি থেকে প্রচুর অপরিণত ডিম্বাণু নিসৃত হয়, যা পরবর্তীতে সিস্টে পরিণত হয়। অন্যদিকে পিসিওএস একটি এন্ডোক্রিন সিস্টেম ডিসঅর্ডার। এ অবস্থায় ওভারিতে প্রচুর এন্ডোজেন তৈরি হয়, যা ডিম্বাণু তৈরি ও নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে। এ ডিম্বাণুগুলোর কয়েকটা তরল পূর্ণ সিস্টে পরিণত হয়ে ওভারিতে জমা হয় ও একে ফুলিয়ে দেয়।
পিসিওডি বা পিসিওএসের লক্ষণসমূহ-
>> অনিয়মিত মাসিক>> দেহের বিভিন্ন জায়গায় অবাঞ্ছিত লোম>> মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া>> ব্রণের সমস্যা কিছুতেই কমবে না>> ওজন বেড়েই চলেছে>> দেহে তৈরি হবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স>> মেজাজ অতিরিক্ত খিটখিটে থাকবে
Advertisement
সমাধানের উপায়এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রথমেই জোর দিতে বলেন ডায়েট ও এক্সারসাইজে। ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এ সমস্যাটি বেড়ে যায়। পরবর্তীতে নারীরা বন্ধ্যাত্ব বরণ করতেও পারেন।
এ ছাড়াও যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন->> কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন গুড ফ্যাট ও মৌসুমী ফল সকালের নাস্তায় রাখতে হবে।>> দৈনিক কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন, তার হিসাব রাখুন।>> ফাস্টফুড ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।>> সারাদিনে প্রচুর শাক-সবজি খেতে হবে।>> বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে হবে।>> চিনি, গুড় ও মধু খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
দুধ খাওয়া যাবে কি-না?দুধের শর্করা ল্যাকটোজ এন্ড্রোজেনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকে ইনফেকশন বেশি হয়। যেমন অতিরিক্ত ব্রণ হয় ত্বকে। এ ছাড়াও ল্যাকটোজ শর্করা আইজিএফ-১ নামক ইনসুলিন গ্রোথ ফ্যাক্টরকে উদ্দীপিত করে দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ল্যাকটোজ শর্করার উপিস্থিতি কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি কমিয়ে দেয়। তাই অনেকেই পিসিওডি হলে দুধ এড়িয়ে চলেন। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি। টক দই প্রতিদিন ডায়েটে রাখা উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
Advertisement
হেলথলাইন/জেএমএস/এসইউ/জেআইএম