শীত আসতেই জ্বর-ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছেন অনেকেই। এ সময় জ্বরের লক্ষণ দেখলেই অনেকে করোনা ভেবে ভুল করে থাকেন। টাইফয়েড জ্বরও হতে পারে এ সময়। তাই লক্ষণ বুঝে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
Advertisement
সালমোনেলা টাইফি নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে রোগটি হয়। দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে প্রধানত দেহে এ জীবাণু ছড়ায়। ফলে জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। যেকোনো বয়সী টাইফয়েডে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে শিশুর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে-
রোগটি কীভাবে ছড়ায়?যে এই রোগে আক্রান্ত, তার মলের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। সাধারণত এ জীবাণু দ্বারা দূষিত খাবার এবং পানি কোনো সুস্থ মানুষ খেলে তিনিও এ রোগে আক্রান্ত হন।
Advertisement
লক্ষণ
১. প্রথম সপ্তাহে-> অনেক জ্বর> মাথা ব্যথা> শরীর ব্যথা> নাড়ির গতি কমে যাওয়া> কোষ্ঠকাঠিন্য> ডায়রিয়া এবং বমি (শিশুর)
২. প্রথম সপ্তাহের শেষদিকে-> বুকে-পেটে র্যাশ ওঠা> স্প্লিন বড় হয়ে যাওয়া> কাশি> পেট ফুলে যাওয়া> ডায়রিয়া
৩. দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষদিকে-> প্রলাপ বকা> কোমায় চলে যেতে পারে> মৃত্যুও হতে পারে
Advertisement
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
১. প্রথম সপ্তাহে-> রক্ত কালচার (রক্তে কোনো জীবাণু আছে কি-না পরীক্ষা করা)> কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট
২. ২য় এবং ৩য় সপ্তাহে-> মল কালচার> প্রস্রাব কালচার> ভিডাল টেস্ট
চিকিৎসাকালচার এবং জীবাণুর জন্য কোন এন্টিবায়োটিক কার্যকর; তা পরীক্ষা করার পর উপযুক্ত ওষুধ দেওয়া হয়।
কী কী জটিলতা হতে পারে
> অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া> অন্ত্র থেকে রক্তপাত হওয়া> হাড় এবং গিরায় ইনফেকশন> মস্তিষ্কের পর্দায় ইনফেকশন> পিত্তথলিতে ইনফেকশন> হার্টে ইনফেকশন> কিডনিতে ইনফেকশন ইত্যাদি
প্রতিরোধের উপায়
> নিয়মিত হাত ধোয়া। বিশেষ করে খাবার খাওয়া এবং তৈরি করার আগে এবং টয়লেট সারার পর।> বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুটানো পানি বা পরিশোধিত পানি সংরক্ষণ করতে হবে।> কাঁচা শাক-সবজি ও ফল-মূল সতর্কভাবে খাওয়া।> গরম খাবার খাওয়া।> টয়লেট সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
লাইফ স্প্রিং/জেএমএস/এসইউ/এমকেএইচ