খুব সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে না নেমে ৩৫ কিলোমিটার আগেই নেমে পড়লাম। সীতাকুণ্ডু নেমে ব্রিজের কাছ থেকে সিএনজি রিকশা রিজার্ভ করে নিলাম। দরদাম করলাম ১২০ টাকা। আমি একা। একটু ঘুরে ঘুরে দেখার জন্য। এবার দেখবো গুলিয়াখালী সি-বিচ।
Advertisement
লোক বেশি হলে একটু ভাড়া বেশি নিতে পারে। আবার শেয়ারে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৩৫ টাকা। চিকন ও আধাভাঙা রাস্তা পেরিয়ে ৩০ মিনিটেই পৌঁছালাম গুলিয়াখালী সি-বিচের কাছাকাছি। শেয়ারে নৌকা ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা।
এরপর শেয়ার লঞ্চে সি-বিচে। ছোট নদী পেরিয়ে কী সুন্দর মোহনা! একদিকে সবুজ সৈকত অন্যদিকে সবুজ গাছপালা। গাছপালায় বিভিন্ন পাখপাখালি ও তাদের ডাকাডাকি। কিছু শুভ্র সাদা বক সবুজ গাছের পাহাড়ে নান্দনিক দৃশ্যের অবতারণা করে! সামনে বিশাল জলরাশি। ঢেউয়ের শব্দে মুখরিত। এমন দৃশ্যকে কী বলা যায়? এককথায় অসাধারণ!
যাতায়াত: ঢাকা বা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার আগে সীতাকুণ্ডু বাস স্টেশনে নামতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতকারী আন্তঃনগরের বেশিরভাগই সীতাকুণ্ডুতে থামে না। লোকাল ও মেইল থামে। চট্টলা এক্সপ্রেস সীতাকুণ্ডু থামে। অথবা ফেনী বা চট্টগ্রাম নেমে যেকোনো বাসে সীতাকুণ্ডু নামতে পারেন।
Advertisement
থাকা-খাওয়া: থাকা ও খাওয়ার জন্য চট্টগ্রামই ভালো হবে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ডুতে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল পাবেন। খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি উভয় স্থানেই সহজলভ্য।
পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্পট: চন্দ্রনাথ মন্দির, পাহাড়, ইকোপার্ক, মহামায়া ঝরনা, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত খুব কাছাকাছি। সময় থাকলে এসব স্থানও ঘুরে দেখতে পারেন।
লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement