শীতের সময় এলে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠ্যিন্যের সমস্যা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট পরিষ্কার হয় না। যে কারণে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও খাওয়ার রুচি চলে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেট, কোমরে ব্যথা হয় অনেকের। এমনকী, ব্যথা মলদ্বারেও হতে পারে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে হতে পারে কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক সমস্যাও। শীতের সময়ে তাই খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি। প্রস্রাব-পায়খানা কখনো চেপে রাখবেন না। জেনে নিন আরও কিছু করণীয়-
Advertisement
সকালেই খেতে হবে এমন নয়, দিনের যে কোনো সময়েই খেতে পারেন ইষবগুলের ভূষি। ইষবগুল যেমন নিরাপদ তেমনই ভালো কাজ করে। সকালে খালি পেটে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন। পানিতে ভিজিয়ে সামান্য চিনি বা মিছরি দিয়ে খেতে পারেন।
সকাল বা রাতের খাবারে খই রাখতে পারেন। দুধে ভিজিয়ে বা দইয়ের সঙ্গে খান। খইয়ে থাকে প্রচুর ফাইবার। যা পেট পরিষ্কার করে। এছাড়াও টকদইয়ের মধ্যে থাকে প্রো বায়োটিক। যা হজমে ভালো সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন তিন-চারটি খেজুর খেতে পারেন।
ত্রিফলা নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে। ত্রিফলা ভেজানো পানি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। নিয়মিত ত্রিফলা খেলে উপকার পাবেন। অনেক ওষুধেও মেশানো হয় ত্রিফলা।
Advertisement
শীতের সময়ে অনেকে পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দেন। এটি ঠিক নয়। তাই তৃষ্ণা না লাগলেও পানি পান করুন। হালকা গরম পানি পান করতে পারেন। তবে খুব বেশি গরম পানি পান করবেন না। স্যুপ বা চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফিও এক্ষেত্রে উপকারী। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করুন।
খাবারের সুগন্ধ বাড়ানো ছাড়াও এলাচ আরও অনেক কাজে লাগে। এটি আমাদের শরীরের নানা উপকারে লাগে। একটি বড় এলাচ এক কাপ গরম দুধে সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এই এলাচটি থেঁতো করে দুধের সঙ্গেই খেয়ে ফেলুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সকালে আর রাতে এই ভাবে এলাচ-দুধ খেলে দ্রুত উপকার পাবেন।
পাকা পেঁপে, আপেল খান। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ শাক সবজি খান। ডাল খান। তেল মশলা দিয়ে খাবার এড়িয়ে চলুন। স্যুপ, জুস বেশি করে খান। সালাদ খান। সব সবজি একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করুন। চিঁড়া, মুড়ি এসব বেশি করে খান।
ঘুম ভালো হলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়। পেট পরিষ্কারের জন্য খুব ভালো ঘুম দরকার। আর শীতে জুবুথুবু হয়ে বসে না থেকে ঘোরাঘুরি করুন। খেয়েই ঘুমোতে যাবেন না। হাঁটাহাঁটি করুন।
Advertisement
এইচএন/জেআইএম