পিরোজপুরের বিনোদনের একমাত্র প্রাণকেন্দ্র ডিসি পার্ক। সামাজিক বন বিভাগের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে পার্কটি। পার্কটি পিরোজপুর রিভারভিউ ইকোপার্ক নামেও পরিচিত। বিনোদনে ভরপুর পার্কটিতে ঘুরতে গেলে সকলেরই অন্যরকম ভালো লাগা অনুভূত হবে। অবস্থানপিরোজপুর জেলা সদর থেকে ২.৫ কিলোমিটার দূরে নামাজপুর গ্রামে অবস্থিত পার্কটি। নামকরণসাবেক জেলা প্রশাসক মো. মনছুর রাজা চৌধুরী ২০০৭ সালে পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন। তিনি ওই জায়গায় বালি ভরাট করেন। তবে অর্থাভাবে সে সময় আর কাজ না হলেও তখন থেকেই জায়গাটি ডিসি পার্ক বলে পরিচিতি পায়।বৈশিষ্ট্যপার্কের পশ্চিমে গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে বলেশ্বর নদী। বলেশ্বরের পানিতে রোদের ঝিকিমিকি আলোয় আরো এক ধাপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে পার্কটির। ঘন সবুজে বেষ্টিত চারপাশ আর মাঝখানে বাহারি ফুলের সমারোহ আপনাকে নিয়ে যাবে এক অজানা আনন্দলোকে। উপকরণপার্কে রয়েছে কৃত্রিম ঝরনা আর পাহাড়ের নিদর্শন। চারদিকটা ঘুরে আপনি উঠতে পারেন সেখানে নির্মিত ৫তলা বিশিষ্ট টাওয়ারে। এখান থেকে নীল আকাশে পাখিদের ডানা মেলে উড়ে যাওয়ার সাথে বলেশ্বরে পালতোলা নৌকা আর জেলেদের মাছ ধরাও দেখতে পাবেন। রয়েছে নদীর কোল ঘেঁষে বসার জন্য পাকা করা সারিবাঁধা বেঞ্চ। বিকেলে ভাড়া নৌকায় ঘুরে আসতে পারেন বলেশ্বর নদী। খানিক দূরে রয়েছে বলেশ্বর সেতু। নৌকা ভ্রমণ শেষে সেতুর উপরে রকমারি দোকান থেকে খেতে পারবেন চা অথবা চটপটি। পিকনিক পার্টির জন্যও পার্কটি প্রসিদ্ধ। এছাড়াও পার্কটিতে একটি কফি হাউজ, ফোয়ারা এবং একটি লেক রয়েছে। লেকের উপর দুটি কাঠের সেতু এবং নিচে রয়েছে পেডেল বোটের ব্যবস্থা। পুরো পার্ক জুড়ে স্থাপিত মৌসুমী ফুলের বাগান, বসার বেঞ্চ, গোল ছাতা, দোলনা ও কিছু টপিয়ারী পার্কটির নান্দনিকতা আরও বৃদ্ধি করেছে।কীভাবে যাওয়া যায় ঢাকার গাবতলী ও গুলিস্তান থেকে বিভিন্ন পরিবহন রয়েছে। বাসযোগে যেতে হবে পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে রিকশা অথবা টমটমে চড়ে যাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চেও যাওয়া যায়।এসইউ/আরআইপি
Advertisement