ওই মুমিন বান্দা আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়, যে বান্দা অন্তর থেকে আল্লাহ তাআলার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে থাকেন। যেভাবে ক্ষমতা, মর্যাদা ও নেয়ামত লাভের পর হৃদয়ের গভীর থেকে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছিলেন পয়গাম্বর হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম।
Advertisement
উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য মহান আল্লাহ তাআলা হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সে দোয়াটি কুরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন। যাতে তাঁরই শেখানো ভাষায় মুমিন মুসলমান তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পারে। নিজেদের নেককার হিসেবে গড়ে তুলতে দোয়া করতে পারেন। তাহলো-رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَউচ্চারণ : রাব্বি আউযিনি আন আশকুরা নিমাতিকাল্লাতি আনআমতা আলাইয়্যা ওয়া আলা ওয়ালিদাইয়্যা ওয়া আন আমালা সালিহাং তারদাহু ওয়া আদখিলনি বিরাহমাতিকা ফি ইবাদিকাস সালিহিন।’ (সুরা নামল : আয়াত ১৯)
অর্থ : হে আমার প্রভু! তুমি আমাকে তোমার দেয়া সেসব নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সামর্থ দাও। যেসব নেয়ামত তুমি আমাকে ও আমার বাবা-মাকে দান করেছ। আর আমি যাতে তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর।’
মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য দুনিয়াজুড়ে অগণিত নেয়ামত দান করেছেন। যা গুণে শেষ করা যাবে না। বান্দা চাইলেও সেসব নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবে না। সুতরাং বান্দার জন্য এসব নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ে এ দোয়াটি যথাযথ ও উপযুক্ত।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের সব নেয়ামতের কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করার তাওফিক দান করুন। নিজেদের নেককার বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে ইসলামের বিধি-বিধান মানার পাশাপাশি বেশি বেশি এ দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর