বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, এক থেকে ১০ বছরের মধ্যেই শিশুদের মূল বিকাশ হয়ে থাকে। তাই এ সময়ে তাদের আচার-আচরণ, মন-মানসিকতা গুরুত্বের সঙ্গে বুঝতে হবে। সেক্ষেত্রে মা-বাবা, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা শিশুদের গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে অ্যাসোসিয়েশন অফ থেরাপিউটিক কউিন্সিলরস বাংলাদেশের (এটিসিবি) ‘সাইকোথেরাপি ফর চিলড্রেন’ বিষয়ক বাৎসরিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. এম এ হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহীন ইসলাম। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এটিসিবির সভাপতি ও বিএসএমএমইউ’র মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুর নাহার। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস সালাম, এটিসিবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সুলতানা এলগিন প্রমুখ।উপাচার্য বলেন, ঘরে বাইরে সর্বত্রই একটি সুস্থ ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বজায় রাখা জরুরি। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে সুন্দর দেশ। এ দেশে শিশুরা যাতে একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।তিনি বলেন, বিশ্বায়ন ও নগরায়নের এ যুগে শিশুরা এখন আর বাংলাদেশের ছয় ঋতুর পরিবর্তন, বসন্তের নানা জাতের ফুল, শরতের শিউলি ও কাশ ফুল, বর্ষায় স্রোতস্বিনী নদীর কলতানসহ গ্রামের নদ-নদী, পাখি, ফুল, মাঠ খুব একটা উপভোগ করতে পারে না। অথচ প্রতিটি শিশুর বিকাশের জন্য রবিঠাকুরের এমন গ্রাম্য পরিবেশ অপরিহার্য। শিশুরা যাতে প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে একটি উন্মুক্ত ও সুস্থ পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে সেদিকেও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি দেয়া উচিত। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শিশুসহ সকলকে সঠিকভাবে চেনা ও জানার বিষয়টি রপ্ত করতে হবে। তবেই তারা এ বিষয়ে চিকিৎসাসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেয়ার কাজটি সহজেই করতে পারবেন। এমইউ/একে/এমএস
Advertisement